নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সংস্কার নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।

সংস্কার নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে সেটা চিন্তা করে বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দেড় বছর আগেই দিয়েছিলাম। সব সংস্কারের কথা ওখানে বলা আছে। সুতরাং সংস্কার নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা জাতীয় সরকার করে ৩১ দফা সংস্কার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করবো।

গতকাল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ২০২৩–২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভ অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট বিতাড়িত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জনগণের মনোজগতে যে পরিবর্তন এসেছে তা সবাইকে বুঝতে হবে।

যারা বুঝতে পারবে না, সেই রাজনীতিবিদ হোক, শিক্ষক হোক, তার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের চিন্তা, ভাবনা, দর্শন একেবারে বদলে গেছে। যারা সেটা অনুধাবন করতে পারবে না, ধারণ করতে পারবে না এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবে না তাদের জন্য আগামীর বাংলাদেশ কঠিন হয়ে যাবে। নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদেরকে ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ না হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড লুৎফুর রহমান। সমারম্ভ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য যে সুযোগ বাংলাদেশে রয়েছে, তা খুব কম দেশেই আছে।

আমরা কিন্তু মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করিনি। আমরা বিনিয়োগ করেছি পদ্মা ব্রিজে, আমরা বিনিয়োগ করেছি টানেলে। বিনিয়োগ করা দরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। এই দুই খাতে বিনিয়োগ ছাড়া মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব নয়।

প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, বিশ্বমানের পাঠ্যসূচি, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি করছে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা।

ইউরোপ–আমেরিকার আদলে দেশে প্রথমবারের মতো এখানে চালু করা হয়েছে ‘প্রবলেম বেইসড লার্নিং’ পদ্ধতি। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে সিভাসু।

 

 

আরও পড়ুন