নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সমীক্ষায় ৮০ হাজার, বর্তমানে চলছে ১০ হাজার গাড়ি।

সোমবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

সমীক্ষায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল, দৈনিক ৮০ হাজার গাড়ি চলাচল করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে দৈনিক গাড়ি চলছে ১০ হাজারের মতো। তাও টেক্সির সংখ্যা বেশি। এতে করে নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু এবং টোল আদায় শুরু হলেও গাড়ি এবং টোলের পরিমাণ কোনোটিই প্রত্যাশার নাগাল পায়নি। তবে সিডিএ সূত্র বলেছে, এক্সপ্রেসওয়ের কানেক্টিভিটি ঠিকভাবে হলে যানবাহনের সংখ্যা বহু গুণ বেড়ে যাবে।

সূত্রে জানা যায়, নগরীর যান চলাচলে গতি আনা এবং শহরের একমাত্র প্রধান সড়কটির উপর চাপ কমাতে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পুরো ব্যয়ের যোগান দেয় সরকার। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭শ কোটি টাকা অনুদান এবং বাকি ৫২৪ কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে প্রদান করে। ঋণের এই টাকা এক্সপ্রেসওয়ের টোল থেকে সরকারকে পরিশোধ করবে সিডিএ। এজন্য ইতোপূর্বে নির্মিত তিনটি ফ্লাইওভার টোল ফ্রি থাকলেও এক্সপ্রেসওয়েতে ১৯ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত হারে টোল আদায় করা হচ্ছে। টোল পরিশোধের মাধ্যমে দশ ধরনের গাড়ি এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিভিন্ন গন্তব্যে পৃথক হারে টোল অনুমোদন দেওয়া হলেও বর্তমানে মুরাদপুর বা বেবি সুপার মার্কেটের সামনে থেকে পতেঙ্গা এবং পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার বা মুরাদপুর এলাকায় নামার টোল আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে সিএনজি টেক্সির টোল ৩০ টাকা, কার ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, চার চাকার মিনিবাস ও ট্রাক ২০০ টাকা, বাস ২৮০ টাকা, ৬ চাকার ট্রাক ৩০০ টাকা এবং কাভার্ড ভ্যান চলাচলে দিতে হচ্ছে ৪৫০ টাকা।

চুয়েট ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্ট অ্যান্ড কনসালটেশন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলাচলের এক সমীক্ষায় উল্লেখ করেছিল, এর উপর দিয়ে দৈনিক ৮১ হাজার ৪৭১টি যানবাহন চলাচল করবে। এর মধ্যে কার ও সিএনজিচালিত থ্রি হুইলার ৩৯ হাজার ৪২৮টি, মাইক্রোবাস, কাভার্ড ভ্যান এবং জিপ ৬ হাজার ৫১৩টি, মিনিবাস ও পিকআপ ৫ হাজার ৩৮টি, বাস ৩ হাজার ৩৮৯টি, ট্রাক ৫ হাজার ৬৬৪টি, লরি ও ট্রেইলর ৬৭৭টি, মোটরসাইকেল ৫ হাজার ৮১৪টি, ঠেলাগাড়ি ৫৯০টি এবং রিকশা ১৪ হাজার ৩৫৮টি। এর মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে মোটরসাইকেল, কন্টেনার মুভার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঠেলাগাড়ি এবং রিকশা সমীক্ষায় থাকলেও এক্সপ্রেসওয়েতে এই গাড়ির চলাচল নেই। এই চার ক্যাটাগরির গাড়ি বাদ দিলেও সমীক্ষায় উল্লেখিত অপরাপর গাড়ির সংখ্যা থাকে ৬০ হাজার ৩২টি। অর্থাৎ প্রতিদিন এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে ৬০ হাজারের বেশি গাড়ি চলাচলের কথা। অথচ এখন চলছে দৈনিক ১০ হাজারের মতো। তাও অধিকাংশ স্বল্প টোলের সিএনজি।

সিডিএ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে শুরু হলেও কয়েকদিন গাড়ি চলেছে দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার। বর্তমানে গড়ে দৈনিক ৩ হাজারের বেশি সিএনজি টেক্সিসহ ১০ হাজারের মতো গাড়ি চলছে। শুধু শুক্রবারে ১১ হাজারের কিছু বেশি গাড়ি চলেছে। সিডিএ নিজেই টোল আদায় করছে। দৈনিক ৫ লাখ টাকার কাছাকাছি টোল আদায় হচ্ছে।

 

 

আরও পড়ুন