নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সাতকানিয়ায় গণপিটুনি : উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি কোতোয়ালী থানার।

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুক্রবার , ৭ মার্চ, ২০২৫

চট্রগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে ২ জন নিহতের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি নগরের চট্রগ্রামের কোতোয়ালী থানার বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম। গত ৫ আগস্ট থানা থেকে অস্ত্রটি লুট হয় বলে জানান তিনি। হত্যার আগে ওই পিস্তল দিয়ে নিহতদের ১জন গুলি ছুঁড়েছিলেন বলেও জানান তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ২ নম্বর গেট নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার। রাউজানে এক ব্যবসায়ী খুনের মামলায় ২ আসামিকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।

সাতকানিয়ার ঘটনায় পুলিশ সুপার বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে খুন হন নেজাম ও সালেক। ঘটনার দিন তারা ৭টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে সেখানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অস্ত্র প্রদর্শন করেছিলেন। তারা চাঁদার জন্য নিয়মিত সেখানে যেতেন বলে পুলিশ তথ্য–প্রমাণ পেয়েছে। ৪ থেকে ৫ দিন আগেও তারা সেখানে গিয়ে এক ইউপি সদস্যের স্ত্রীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন; যার কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সুপার সাইফুল বলেন, গণপিটুনির ঘটনায় অনেকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা বলছেন। ঘটনার সময় বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের কোনো ব্যক্তি বা চেয়ারম্যানের উপস্থিতি ছিল কি না, প্রশ্ন তুলেছেন। আসলে আমরা কিন্তু এ ধরনের কারও উপস্থিতি খুঁজে পাইনি। এমনকি সেখানে তাদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের শক্ত অবস্থানও পাইনি। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার দিন নেজাম সেখানে গিয়ে অস্ত্র নিয়ে গুলি করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর সেখান থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটি সিএমপির কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র। প্রকৃত সত্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, কোনো অবস্থায় ভাবার সুযোগ নেই, প্রশাসন নির্বিকার হয়ে গেছে। আমরা আমাদের মতো প্রকৃত সত্য ঘটনা উদ্‌ঘাটনের জন্য যা কিছু দরকার, সবকিছু করব। সে জন্য একটু সময় নিচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা কী, সেটা আমাদের উদ্‌ঘাটন করা দরকার।

জানা গেছে, এর আগে সোমবার রাতে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে ঘোষণা দিয়ে ২ ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই ২ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও একই ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার মোঃ সালেক (৩৫)। ঘটনায় স্থানীয় এক দোকানিসহ চার ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোছেন বলেন, নিহত দুজন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একটি সালিস বৈঠকের কথা বলে তাদের এওচিয়া এলাকায় ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দুজনের মাথায় পর্যায়ক্রমে আঘাত করা হয়। তবে জামায়াতের সাতকানিয়া উপজেলা আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন বলেন, নিহত ব্যক্তিরা জামায়াতের তালিকাভুক্ত কোনো কর্মী নন। তবে সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় যেহেতু জামায়াতের জনসমর্থন বেশি রয়েছে, সে হিসেবে হয়তো তারাও জামায়াতকে ভালোবাসতেন।

 

আরও পড়ুন