সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। খুশির এ দিনে আনন্দে মেতে উঠেছে দেশবাসী।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টা থেকেই দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলাগুলোতে ঈদের জামাত শুরু হয়। গ্রাম-নগরের হাজার হাজার ঈদগাহে জমায়েত হয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সারাদেশ থেকে পাঠানো বাংলাদেশের খবরের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য যুক্ত করা হলো।
জাতীয় ঈদগাহ
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। এ ছাড়া মোকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
জাতীয় ঈদগাহে এবার প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির ঈদের নামাজের জন্য স্থান প্রস্তুত করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। তার সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জামাতে অংশ নেন।
নামাজ শেষে মোনাজাতের আগে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। এ সময়ে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সবা সব বাংলাদেশিকে ঈদ মোবারক জানিয়ে তিনি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বায়তুল মোকাররম
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জামাতে পেশ ইমাম হিসেবে হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী এবং মুকাব্বির হিসেবে মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় জামাতে ইমাম হিসেবে সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেবে প্রধান খাদেম মো. নাসির উল্লাহ দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয় জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান এবং মুকাব্বির হিসেবে খাদেম মো. আব্দুল হাদী দায়িত্ব পালন করেন। চতুর্থ জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ এবং মুকাব্বির হিসেবে খাদেম মো. আলাউদ্দীন দায়িত্ব পালন করেন। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এবং মুকাব্বির হিসেবে খাদেম মো. রুহুল আমিন দায়িত্ব পালন করেন।
রাজশাহী
সোমবার সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম রূপোশ (রহ:) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। রাজশাহীর বিভাগীয়, জেলা ও সকল স্তরের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে নামাজ আদায় করেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ নানা শ্রেণি পেশার মুসল্লিরা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে ঈদগাহ প্রান্তর। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় ঈদগাহের প্রতিটি কাতার। প্রধান এই জামাতে ইমামতি করেন নগরের রাজারহাতা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. কাওসার হোসাইন। এতে তাকে সহযোগিতা করেছেন তেরোখাদিয়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ সোয়েব হোসেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় বৃহত্তর জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরীর মহানগর টিকাপাড়া ঈদগাহ ময়দানে। এরপর সকাল সোয়া ৮টায় ঈদের তৃতীয় বৃহত্তর নামা হয়েছে নগরীর সাহেব বাজার বড় মসজিদ ও সংলগ্ন বড় রাস্তায়। নামাজের পর দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়। ঈদের নামাজে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতারা বর্তমানের মতো আগামীতেও ঐক্যের বাংলাদেশ অব্যাহত রেখে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।