নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সীতাকুণ্ডে এক শিশুর মৃত দেহ মিলল।

চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামে একটি গর্ত পরিমাণ ডোবায় পরে মিরাজ উদ্দিন (০৪) নামক ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ওই এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান,গতকাল শনিবার বিকেল আনুমানিক ৩ টার দিকে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন ও তার স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। পরে সন্ধার সময় এলাকাবাসী বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে স্কেভেটর দিয়ে করা একটি বড় গর্তে তার ছোট সেন্ডেল দেখতে পান। সেখানে জাল মেরে ও গর্তে নেমে খোঁজ করেও সন্ধান মিলেনি শিশু মিরাজের।

এক পর্যায়ে এলাকার মুরব্বিদের পরামর্শে গর্তের চার কোনায় ৪ জন ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে একযোগে আজান দিতে শুরু করেন। এরপর আজান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ মিরাজের মৃতদেহ ভেসে উঠে ডোবা আকারের ঐ গর্ত থেকে। পরে মিরাজের লাশ উদ্ধার করে তার মাকে বুঝিয়ে দেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

মিরাজের বড় ২টি বোন রয়েছে। বড় বোন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও মেজ বোন ৪র্থ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। তাদের মধ্যে মিরাজ ছিল সবার ছোট একমাত্র ভাই।তার পিতা আলাউদ্দীন (৪৩) গত ১ বছর আগে ক্যান্সারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর মিরাজের মাতা অভাব অনটনে পড়েন।

আজ একটি দুর্ঘটনায় বাবার মত মিরাজও চলে গেল পৃথিবী ছেড়ে। এদিকে মিরাজ নিহতের ঘটনায় গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগল।

এ বিষয়ে মিরাজের চাচা  কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, গত ১ বছর আগে আমার ভাই ফুসফুসে ক্যান্সারে মারা গেছেন। তার এক বছর পর তাঁর ছোট ছেলে আমার ভাতিজা শিশু মিরাজও ডোবা পরিমাণ একটি গর্তে ডুবে না ফেরার দেশে চলে গেল। এটি অনেক মর্মান্তিক ও কষ্টের। ছেলেকে হারিয়ে মিরাজের মা এখন দিশেহারা হয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন