নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

হাওরে ইজারা বন্ধের দাবি ও টেকসই উন্নয়নে ১১ প্রস্তাব।

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে হাওর উন্নয়ন আন্দোলন। এছাড়া হাওর এলাকার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ১১ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘হাওর ও হাওরবাসীর সংকট-সমস্যা সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি পেশ করেন।
আলোচনা সভায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধ করতে হবে, ইজারাকৃত জায়গাগুলো উদ্ধার করে সেগুলোকে মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করতে হবে। এবং এইসব জায়গায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এতে করে এসব স্থান দেশের বৃহৎ প্রজনন কেন্দ্র হতে পারে। পরবর্তীতে এসব পোনা পুরো হাওরে ছড়িয়ে যাবে।
সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রায় ২৪ হাজার বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত হাওর অঞ্চল দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের বাসস্থান। এখানকার প্রধান জীবিকা কৃষি ও মৎস্য আহরণ। দেশের মোট ধান উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ আসে এই অঞ্চল থেকে। তবে বর্ষাকালে হাওরগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়, যা কৃষি ও বসবাসের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাওর উন্নয়নে ১১ দফা প্রস্তাব পেশ করে হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের জানায়, অকাল বন্যা প্রতিরোধে নদী-নালা ও খাল-বিল খনন, ফসল রক্ষায় মাটির বাঁধ নির্মাণ। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জলমহল ইজারা ও শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন। কৃষকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, প্রণোদনা, ন্যায্যমূল্য ও সমবায় বাজার। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য শস্য বিমা চালু। ফসল পরিবহনে সাবমারসিবল ও উড়াল সড়ক নির্মাণ। কৃষিভিত্তিক শিল্পে স্বল্প সুদে ঋণ ও বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ। কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা স্থাপন, সহজ শর্তে ঋণ। কৃষি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি। খাস জমি ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে বিতরণ। দারিদ্র্য বিমোচন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

আরও পড়ুন