নিউজ ডেক্স।
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
ক্ষমতায়নের প্রশ্ন সামনে এনে পার্লামেন্টের ১০০ (এক-চতুর্থাংশ) আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারী আসনেও সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারীদের বহু দিনের যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে তারা এই প্রস্তাব করেছেন।
তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কমিশনের এই সুপারিশ নিয়ে কতটা ঐকমত্য হবে, তা নিয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন। নারী নেত্রী, সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের এই সংস্কার প্রস্তাব মানতে চাইবে না।
নারীদের আসন সংরক্ষণ : ১৯৭২ সালের সংবিধানে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য সংসদে নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়। ১৯৭৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসন ৩০টি করা হয়। ২০০৪ সালে করা হয় ৪৫টি। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৫০-এ উন্নীত করা হয়, যা এখনও চলমান। এই ৫০টি আসন সংসদের ৩০০টি সাধারণ আসনের নির্বাচনে জয়ী দলসমূহের প্রতিনিধিত্বের হার অনুযায়ী বিতরণ করা হয়, যাতে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
সরাসরি নির্বাচনের প্রশ্ন : দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় থেকে বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও সংসদের সরাসরি নির্বাচনের আসন শুরু থেকে ৩০০-ই রয়ে গেছে। তাই দেশের জনসংখ্যার বিবেচনায় সরাসরি নির্বাচনের জন্য আসন সংখ্যা আরও ১০০ বাড়িয়ে ৪০০ করার যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। তাদের প্রস্তাবিত ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে প্রথমবার ৪০০ আসনের এক-চতুর্থাংশ বা ১০০ আসন লটারি বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে চিহ্নিত করে নারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
এ আসনগুলোতে কেবল নারীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, অন্য ৩০০ আসনে নারী-পুরুষ উভয়েরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থাকবে। এভাবে চারটি নির্বাচনি চক্র বা মেয়াদে প্রতিটি আসন থেকে একজন নারী যোগ্যতার ভিত্তিতে অন্য নারীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়ে আসার সুযোগ পাবেন।