আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
প্রকাশ: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫
খেলার প্রথমার্ধে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনালের দাপটের সামনে রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে পড়ল অসহায়; মাত্র ১৭ মিনিটেই রিয়ালের গোলবার তিনবার ভেদ করেছে আর্সেনাল। স্মরণীয় জয়ে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেল দলটি।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের সময় রাত ১টায় শুরু হওয়া কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে বিবর্ণ রিয়ালকে ৩-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।
স্বাগতিকদের হয়ে ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস ৫৮তম ও ৭০তম মিনিটে করেন জোড়া লক্ষ্যভেদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের কোনো ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে সরাসরি দুটি গোল করা প্রথম খেলোয়াড় তিনি। এরপর ৭৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মিকেল মেরিনো।
টানা ৬ মৌসুম সুযোগ না পাওয়া আর্সেনাল ২০২৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরে। এরপর সবশেষ দুই মৌসুম মিলিয়ে নিজেদের মাঠে ১১ ম্যাচ খেলে অপরাজিত রইল ইংলিশ ক্লাবটি। তারা জিতেছে নয়টি, ড্র করেছে বাকি দুটি।
এই প্রতিযোগিতায় রিয়ালের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলেও অপরাজিত দলটি, দুটি জয়ের সঙ্গে একটি ড্র করেছে। ২০০৫-০৬ মৌসুমের শেষ ষোলোতে নিজেদের মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ের পর স্প্যানিশ পরাশক্তি ডেরায় ১-০ গোলে জিতেছিল তারা।
রিয়ালের হয়ে নিষ্প্রভ ছিলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম এবং দুই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপেই কিছুটা ঝলক দেখান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের দুর্দশা আরও বাড়ে যোগ করা ৪ মিনিট সময়ের শেষ মিনিটে।
কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের মাঠ ছাড়তে হয় ১০ জন নিয়ে। লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান ফরাসি মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। প্রথম হলুদ কার্ডটি তিনি পান ইংলিশ উইঙ্গার বুকায়ো সাকাকে ফাউল করে, দ্বিতীয়টি দেখেন রেফারির একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হতাশায় বলে লাথি মেরে।
বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও স্বাগতিকদের আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। তারা ৫৪ শতাংশ সময় বল পায়ে রেখে গোলমুখে ১২টি শট নিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ১১টিই রাখে লক্ষ্যে। অন্যদিকে, সফরকারীদের নেওয়া নয়টি শটের মধ্যে তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
২ দলের গোলরক্ষককেই ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। আর্সেনালের স্প্যানিশ গোলরক্ষক দাভিদ রায়া করেন চারটি সেভ। তবে বিরতির পর তেমন একটা পরীক্ষা দিতে হয়নি তাকে। বিপরীতে, চোট কাটিয়ে একাদশে ফেরা বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কর্তো পাঁচটি সেভ না করলে রিয়ালের হারের ব্যবধান আরও বড় হতো।