নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

১৯৭৬ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় এ দুটি পদক দিচ্ছে সরকার।

সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ভূষিত করা হয়ে থাকে রাষ্ট্রীয় দুটি পদকে। যার একটি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং আরেকটি হলো বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)। পুলিশের চাকরিতে এসব পদক খুবই সম্মানজনক বলে বিবেচনা করা হয়। পদক পাওয়া কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি নামের শেষে উপাধি হিসেবে এই পদক ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১০৩ পদস্থ কর্মকর্তাকে ২০১৮ সালের জন্য দেওয়া
বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) বাতিল করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত ফাইল চালাচালি করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই রাষ্ট্রীয় এই পদক প্রত্যাহার করা হবে। পদকের সঙ্গে দেওয়া আর্থিক সুবিধা ফেরত নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই ১০৩ জনের পদক প্রত্যাহার করা হলে তা হবে নজিরবিহীন। কারণ, এর আগে কখনো বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে একসঙ্গে এতজনের বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র বলেছে, পুলিশ সদর দপ্তরই এ পদক প্রত্যাহার ও পদকের সঙ্গে দেওয়া টাকা ফেরত নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে ২২ ডিসেম্বর পাঠানো চিঠিতে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (কনফিডেনশিয়াল) মো. কামরুল আহসানের স্বাক্ষর রয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সক্রিয় দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশের ১০৩ পদস্থ কর্মকর্তাকে ঢালাওভাবে পদক দিয়ে রাষ্ট্রীয় পদকের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
১৯৭৬ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় এ দুটি পদক দিচ্ছে সরকার পাশাপাশি সরকার ১৯৯৯ সাল থেকে পুলিশ সদস্যদের সৃজনশীল উদ্ভাবনীমূলক কর্মকাণ্ড, মামলার রহস্য উদঘাটন, তদন্তসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দাপ্তরিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বিপিএম সেবা ও পিপিএম সেবা পদক দিচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের কাছে এসব পদক খুব সম্মানজনক ও মর্যাদার বলে বিবেচিত।
পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনে (একাদশ সংসদ নির্বাচন) সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ঢালাওভাবে ৬৪ জেলার এসপি, সব ডিআইজি ও সব পুলিশ কমিশনারকে রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়া হয়। এই পদকের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পদকের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। বিতর্কিত ওই নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১০৩ জনকে দেওয়া পুলিশ পদক বিধি অনুযায়ী প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চিঠিতে তাঁদের অনুকূলে পদক-সংক্রান্ত আর্থিক সুবিধা বন্ধ এবং ইতিপূর্বে নেওয়া অর্থ ফেরত নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে

আরও পড়ুন