আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫
ইসরায়েলি সেনারা গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার দখলকৃত অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে। তারা এসব এলাকায় নিজেদের নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদারে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ।
বুধবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আগের মতো এখন আর সেনাবাহিনী দখলকৃত এলাকা থেকে সরছে না। সেনাবাহিনী গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় একটি বাফার জোন হিসেবে থাকবে। এসব এলাকায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে সেনারা অবস্থান করবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজার ৩০ শতাংশ অঞ্চলকে ‘নিরাপদ বাফার জোন’ হিসেবে পরিণত করেছে। ১৮ মার্চ থেকে হামাসের সঙ্গে দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতির পর আবারো হামলা শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২শ ‘লক্ষ্যবস্তু’তে আঘাত হেনেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, তিনি হামাসকে ধ্বংস করবেন ও গাজায় আটক ৫৯ জনকে উদ্ধার করবেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন এখনো জীবিত বলে মনে করে ইসরায়েল। হামাস বলেছে, ইসরায়েল গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না আনলে তারা বন্দিদের মুক্তি দেবে না।
এদিকে, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ বুধবার ইসরায়েলি বন্দি রোম ব্রাসলাভস্কির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তিনি আহত ও মানসিক চাপে রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। ভিডিওতে ওই বন্দী নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।
বন্দিদের পরিবারের মূল সংগঠন এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সরকারকে অভিযুক্ত করেছে যে, তারা বন্দিদের আগে ভূখণ্ড দখল করাকে বেছে নিয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তারা নিরাপত্তা জোনগুলো ধরে রাখবে। ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হন ও ২৫০ জন অপহৃত হন। যাদের কয়েকজন পরে মুক্তি পেলেও অনেকেই এখনো হামাসের কাছে বন্দি।
নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবেন। যার অধীনে গাজার জনগণের একটি বড় অংশকে ‘স্বেচ্ছায় অভিবাসনের’ মাধ্যমে অন্য দেশে পুনর্বাসন করা হবে।