আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারত চলে যায়। এরপর অনেক মন্ত্রী, এমপি, নেতারা তার পথ অনুসরণ করে বিদেশের মাটিতে পা জমিয়েছেন।
সম্প্রতি, ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বতীকালীন সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করার পর দলটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যম বা গণমাধ্যমে বলা যাবে বা কতটা লেখা যাবে এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
গত সোমবার (১২ মে) প্রকাশিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণহত্যায় অভিযুক্ত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের ভেতরে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যে কোনো ধরনের ‘প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো’।
এ ঘোষণার পর মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে সরকার নিজেই সেটি ক্ষুন্ন করতে যাচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‘অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে না’।
তবে আইনজীবীরা বলছেন, আইনের ক্ষমতাবলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেটির পরিধি বিস্তৃত এবং কিছু বিষয় স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা নেই। ফলে আইনটির অপব্যবহার হতে পারে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেছেন, ‘এমনকি, সরকারের পক্ষ থেকে এই যে যৌক্তিক ও গঠনমূলক বিশ্লেষণের কথা বলা হচ্ছে; কে ঠিক করবে কোনটা যৌক্তিক বা গঠনমূলক, আর কোনটা যৌক্তিক নয়।