আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫
প্রায় ৪ মাস পর আগামী ৫ মে দেশে ফিরতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়।২ পুত্রবধূসহ চৌঠা মে লন্ডন থেকে তার রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার সময়ের আলোকে বলেন, ম্যাডামকে দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে। ৪ ও ৫ মে ধরে পরিকল্পনা করছি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা সৈয়দা শামিলা রহমান এবং জাহিদ হোসেনও দেশে ফিরবেন।বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য সময়ের আলোকে বলেন, লন্ডন ক্লিনিক থেকে ম্যাডামকে পূর্ণাঙ্গ ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে তিনি দেশে আসতে পারবেন। তবে চিকিৎসার মধ্যেই তাকে থাকতে হবে।তিনি জানান, বেগম জিয়ার সঙ্গে তার ২ পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান দেশে ফিরবেন। তিন নাতনি সবাই দেশে ফিরবেন কি না নিশ্চিত নয়।
লন্ডন থেকে গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের সফরসঙ্গী ও উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আমি লন্ডন এসেছি। ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। আমি দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৪ অথবা ৫ মে দেশে ফিরতে পারি। এক প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের ফেরার সম্ভবনা নেই। তারেক রহমানের ফেরা নির্ভর করছে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওপর। আমি, ডা. জাহিদ ম্যাডামের সঙ্গে আছি। এছাড়া ম্যাডামের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও গৃহপরিচারিকাও সঙ্গে আছেন।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। দেশে ফিরতে পুরোপুরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া না গেলেও লন্ডনে বেগম জিয়ার চিকিৎসক ও সফরসঙ্গীরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পুরো বিষয়টি তদারক করছেন।দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ২০২০ সালে তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পেলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি হয়নি। এরপর চার বছরে তাকে কয়েক দফা ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস)’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২ রক্তনালীর মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করে দিয়ে যান। তখন থেকেই বলা হচ্ছিল, বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা দরকার। গত অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দিলে সেই সুযোগ তৈরি হয়।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তবে লন্ডন ক্লিনিকে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে লিভার প্রতিস্থাপন করেননি চিকিৎসকরা।