নিউজ ডেস্ক:
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১০ মিনিট আগে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।আজ সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই, তাই গ্রেফতারের প্রশ্নই আসে না। তবে যদি কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে অপরাধ করেননি এমন কারও যাতে স্বস্তি না হয়। তাই প্রতিটি মামলার গভীর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের এসপি ও তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেগুলোরও তদন্ত চলছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি-৩৩৯) ঢাকায় আসেন আব্দুল হামিদ। অবতরণের পর ১টা ৪৫ মিনিটে তিনি হুইল চেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান। সেখানে তাকে দীর্ঘক্ষণ হুইল চেয়ারে বসে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পরে রাত পৌনে ৩টার সময় তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হলে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
এর আগে ৮ মে দিনগত রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি ৩৪০) ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়।
আব্দুল হামিদের দেশ ছাড়ার সহযোগীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সদর দফতর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও করে। তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতায় জড়িতদের শনাক্ত করতে গঠিত ওই কমিটি কাজ শুরু করে।
ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সদর মডেল থানায় ১৪ জানুয়ারি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবুদল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সামা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।
আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।