নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

কক্সবাজার সৈকতে একদিনে ছয় লাশ উদ্ধার।

 

আমারদেশ২৪ ডেস্ক:

সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৩৭ মিনিট আগে।

ঈদুল আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ঢল নেমেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। তবে আনন্দময় এই ভ্রমণ মুহূর্তগুলো অনেকের জন্য রূপ নিচ্ছে শোক আর কান্নায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট এলাকা থেকে ৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে সায়মন বিচ পয়েন্টে, রাজশাহী থেকে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা শাহীনুর রহমান (৬০) ও তার ছেলে সিফাত (২০) একসঙ্গে গোসলে নামেন। একপর্যায়ে তীব্র স্রোতে ভেসে যান দুজনে। সি সেফ লাইফগার্ড সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথে মৃত্যু হয় বাবা-ছেলের।
আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে নাজিরারটেক সৈকতের শেষ প্রান্ত থেকে একটি ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এর আগে রোববার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার পৌর শহরের বাহারছড়া এলাকার নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ২৩ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম থেকে ঈদে ঘুরতে আসা ৫ বন্ধুর ১জন মো, রাজীব (২৮)এর আগে  রোববার বিকালে গোসল করতে গিয়ে স্রোতের টানে তলিয়ে যান। প্রায় ৭ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর রাত ১২টার দিকে সৈকতের ‘কবিতা চত্বর’ পয়েন্ট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রাজীব চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ান বাজার এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় গ্রাফিক্স ডিজাইনার।
একইদিন সকালে ইনানী সৈকত এলাকায় একটি অজ্ঞাত একজনের লাশ ভেসে আসে। অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
অন্যদিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালেই সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় আরও একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
একইদিন দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল এলাকা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় আরেকটি লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। এখনো পর্যন্ত লাশটির পরিচয় মেলেনি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম ৬টি লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন পর্যটক এবং তিন স্থানীয়। এদের মধ্যে একজন বাবা ও ছেলে রয়েছেন। স্রোতের টানে পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে সদরের খুরুশকুল এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি কিভাবে বা কী কারণে মারা গেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন।

আরও পড়ুন