নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

খাগড়াছড়িতে জেলারকে ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখে কারারক্ষীরা।

নিউজ ডেস্কঃ

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্রগ্রামের খাগড়াছড়িতে নানা অনিয়মের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার আক্তার শেখকে তার অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন কারারক্ষীরা।এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত প্রায় দুইঘন্টার অধিক তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. শাহীন আলম এসে কারারক্ষীদের নিরস্ত্র করেন।

এরপর খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান মারুফ এসে কারারক্ষীদের সাথে বসে তাদের সব অভিযোগ শুনেন এবং জেলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কারারক্ষী নাছির ও আব্দুস সালাম বলেন, ‘খাগড়াছড়ি জেল সুপার হোসেন শেখ সাধারণ কারারক্ষী এবং বন্দী আসামিদের নানাভাবে মানসিক অত্যাচার করেন। যেকোনো কাজের জন্য তাকে উৎকোচ দিতে হয়। এসব বিষয় নিয়ে আসামিরা একবার

জেলারকে ভিতরে আক্রমণের চেষ্টা করেন। পরে আমরা দ্রুত জেলারকে নিরাপত্তা প্রদান করি। এছাড়াও গতবছর সাংবাদিকরা উনার অনিয়মের বিষয়ে নিউজ করলে তা তদন্ত হয়। ইতোমধ্যে উনাকে ওএসডি করে বদলির আদেশ হয়। আজ তিনি খাগড়াছড়ি ত্যাগ করার কথা। কিন্তু হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই তিনি আমাদের রাজশাহী বদলি করে দেন।’

খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক বাপ্পি দাশ বলেন, ‘এই জেলার আক্তার শেখের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ছাত্র আন্দোলনে ১৭ জুলাই পুলিশ আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে। পরে জেলখানায় আসলে জেলার আমাকে মানসিকভাবে টর্চার শুরু করেন এবং দেড় ফুট জায়গার জন্য মাত্র ৯ দিনে ৪৬ হাজার টাকা আদায় করেন। আমি উনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করব।’

আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘একটা পারিবারিক মামলায় ২০২৪ সালে আমি ২ মাস ৫দিন কারাগারে থাকি। তখন ১০–১৫ হাজার টাকা দিয়ে কারাগারের ভিতরে থাকতে হয়। না হলে অত্যাচার, মারধর করা হয়। এটা ভিতরে নিত্যদিনের ঘটনা।

খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার কমিশনার মো. শাহীন আলম বলেন, ‘কারারক্ষীদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করব। আসলে বিষয়টি কোনো সমস্যা না। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তার বদলি হয়েছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে এখান থেকে যেতে পারবেন।

 

 

আরও পড়ুন