নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নারী ও শিশুসহ আরো ৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আন্তজার্তিক ডেস্ক:
বুধবার ২৮, মে ২০২৫

ইসরায়েলের বোমার ভয়ে গাজার স্কুল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছিল শত শত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। শেষ পর্যন্ত সেই স্কুলই হয়ে উঠল তাদের ‘জীবন্ত কবর’। সেখানেই পুড়ে কয়লা হয়ে গেল তাদের শরীর। গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নারী ও শিশুসহ আরো ৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন নিহতদের মধ্যে ৫৩ জনই গাজার প্রধান শহর গাজা সিটির বাসিন্দা ছিলেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৬৯ জন।

গত রোববার সন্ধ্যা থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান অভিযানে এ নিহতের ঘটনা ঘটে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত রোববার মধ্যরাতে গাজা শহরের আল-দারাজ এলাকার ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। সে আগুনেই জীবন্ত পুড়ে মরল শিশুরা। চিৎকার করে ওঠার আগেই নিস্তব্ধ হয়ে গেল ১৮টি নিষ্পাপ প্রাণ। এ হামলায় ১৮ শিশুসহ অন্তত ৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই দিনে মৃত্যু উপত্যকাটির ঠিক উত্তরে-জাবালিয়ার একটি বাড়িতেও হামলা চালায় বর্বর সেনারা। নিমিষেই মুছে যায় গোটা একটি পরিবার। নিহত হন আব্দ রাব্বো পরিবারের ১৯ সদস্যই। যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে গাজার হাসপাতালগুলোও।

উত্তর গাজার ইন্দোনেশীয় ও আওদা হাসপাতাল চারপাশ ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যে কোনো সময় সেখানেও পড়বে সেনাদের বোমার থাবা।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর রাতভর পৃথক দুটি বিমান হামলায় গাজায় ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি হয় ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে।
যেখানে বেইত লাহিয়া থেকে আসা শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলায় জীবন্ত পুড়ে গেছেন আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা। যাদের অনেকের শরীর এমনভাবে ঝলসে গেছে যে, শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে। কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই হামলা চালানো হয় স্কুলটিতে।

আরও পড়ুন