নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন সানোয়ারা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মো৷ রাহাত (১৩) নামের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন তার সহপাঠীরা।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকার নদী থেকে তার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।রাহাত চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন জুনিয়র ক্রিকেটের দলে খেলত।
জানা গেছে, এর আগে মঙ্গলবার দুপুর একটায় স্কুলের বন্ধুদের সাথে পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর বাসায় ফিরেনি রাহাত। সারাদিন খোঁজাখুজির পর পরিবারের সদস্যরা থানায় জানালে পুলিশ তার ৪ জন বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করে। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তিতে হামিদচর এলাকা থেকে আজ বুধবার ভোর ৬ টায় রাহাতের লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানায় চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় তার ৪ বন্ধুকে থানায় আটক করা হয়েছে।নিহত রাহাত চান্দগাঁও থানাধীন পূর্ব ফরিদার পাড়ার মো. লোকমান আলীর পুত্র। রাহাত পরিবারের ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট।
নিহতের পিতা মো. লোকমান আলী জানান ,আমার ছেলেকে তার বন্ধুরা মেরে ফেলেছে। মেরে লাশ চরে ফেলে রেখেছিল৷এর আগে মঙ্গলবার আমার ছেলে স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ১৪ জন বন্ধু হামিদ চরে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে সবাই ফিরে আসলেও রাহাত ফিরে আসেনি। সে পরীক্ষা দেয়নি।
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) নিহত রাহাতের লাশ নিয়ে আসা প্রতিবেশি সাব্বির জানান,সারাদিন খোঁজাখুজির পর পরিবারের সদস্যরা থানায় জানালে পুলিশ রাহাতের ৪ জন বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে হামিদচর এলাকা থেকে আজ তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বন্ধুদের সাথে নাকি রাহাতের কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। বন্ধুরা মেরে ফেলেছে হামিদচর এলাকায় নিয়ে।
চান্দগাঁও থানার এসআই আব্দুল কুদ্দুস জানান, মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার পর আর ফেরেনি রাহাত। স্কুল ছুটির পর তার পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছিল। আজ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাহাত কাদের সঙ্গে স্কুল থেকে বের হয়েছিল এবং কোথায় গিয়েছিল, এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে।’
নৌ পুলিশের ওসি একরাম উল্লাহ বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানি এবং ঘটনাস্থলে আমাদের দল পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’চমেক হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আশেক আলম জানান, রাহাত নামে একজন স্কুল ছাত্রের লাশ আনা হয়েছে।