স্পোর্টস ডেস্ক:
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
দ্বতীয়ার্ধে গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর পর জয়ের অন্যরকম উদযাপন। কিন্তু টাইব্রেকারে হেরে সেই হাসি আর দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ছবি: বাফুফে
ফাইনালের লড়াই যেমন হওয়া উচিত ঠিক তেমনটাই হয়েছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের মহারণে বাংলাদেশ ও ভারত যুব দল লড়াই করেছে সমানতালে। সময়ের ব্যবধানে পাল্টেছে ম্যাচের মোড়। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়া ভারতের উল্লাসে দ্বিতীয়ার্ধে বাদ সাধে বাংলাদেশ। নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে গোল করে ফেরে সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। সেখানে শুরুতে এগিয়ে থেকেও হারই সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। নির্ধারিত সময় ১-১ ব্যবধানে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে শিরোপা ঘরে তুলেছে স্বাগতিক ভারত।
টাইব্রেকারে প্রথমে শট নেয় বাংলাদেশ। লাল-সবুজের পক্ষে শট নেন মিঠু চৌধুরী। তিনি বল জালে পাঠান। ভারতও প্রথমটি জালে পাঠায়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় শটটি নেন টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো খেলা মোর্শেদ আলী। তিনিও বল জালে পাঠান। এরপর ভারতের রোহানের শট নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন মাহিন। এরপর বাংলাদেশের শটটি নেন নির্ধারিত সময়ে দলকে সমতায় ফেরানো জয়। তিনি বল জালে পাঠিয়ে লিড এনে দেন। তবে ঋষি বল জালে পাঠালে টিকে থাকে ভারতের আশা। টাইব্রেকারে বাংলাদেশের চতুর্থ শটটি নিতে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। তিনি বল বারের ওপর দিয়ে পাঠান। এরপর ভারতের কাইফ বল জালে পাঠালে স্কোর ৩-৩ হয়। বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চম শটটি নিতে আসেন সালাউদ্দিন। তার শট রুখে দেন ভারতের গোলকিপার। এরপর ভারতের পঞ্চম শটটি নিতে আসেন শামি। প্রথমার্ধে ভারতকে এগিয়ে দেওয়া শামি টাইব্রেকারে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।
অরুণাচলে এর আগে মূল ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলকিপার ইসমাইল হোসেন মাহিনের ভুলে গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। মাঝ মাঠের খানিকটা আগে থেকে ফ্রি-কিক পায় ভারত। শামি সরাসরি শট নেন, গোলকিপার ইসমাইল খানিকটা এগিয়ে ছিলেন। বল তার মাথার ওপর দিয়ে গিয়ে জালে জড়ায়। ইসমাইল একটু পিছিয়ে ফেরাতে চাইলেও পারেননি। ভারত শুরুর দিকেই বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ করে। তবে প্রথমার্ধের শেষ দশ মিনিটে স্বাগতিকদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। এসময় বেশ কয়েকটি কর্নার আদায় করে নেয় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। তবে সফলতা আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ভারতের ওপর চাপ বজায় রাখে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৬০ মিনিটে জটলার মধ্য থেকে শটে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন বদলি নামা জয় আহমেদ। বাকি সময়ে দুদলই গোলের চেষ্টা করে সফল হয়নি। ইনজুরি সময়ের শেষদিকে গোললাইন থেকে ভারতের একটি আক্রমণ রুখে দেন বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার। সেটি না হলে নির্ধারিত সময়েই ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে যেত।