আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
মঙ্গলবার ১৩ মে, ২০২৫
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা ও গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে হাসপাতালে। ডায়রিয়া, শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিনে ওয়ার্ডে আড়াইশোরও বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে তিনশোর মতো শিশু, যাদের বেশিরভাগই গরমজনিত রোগে আক্রান্ত। মেডিসিন ওয়ার্ডে স্ট্রোক ও গরমজনিত অসুস্থতায় ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২০০ জন।
এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও দেখা গেছে রোগীর দীর্ঘ লাইন। রোগীদের মধ্যে অনেকেই ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, মাথা ঘোরা বা পানিশূন্যতায় ভুগছেন। আবার অনেকে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর অভিভাবক জানান, গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ায় তার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাচ্চাকে সুস্থ করতে সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।
সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহানাজ বলেন, এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ওয়ার্ডে সবসময়ই ৫০ জনের বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ রোগী ভর্তি থাকেন। ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে আড়াইশো শয্যার হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে। জনবল ও সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
ডা. বিদ্যুৎ কুমার আরও বলেন, যতটা সম্ভব রোদ-গরম এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি করে পানি ও ফলমূল খেতে হবে। ফলের শরবত পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। বাইরের খাবার না খেয়ে ঘরের তৈরি খাবার খেতে হবে। বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।