অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে চারজনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আহতদের মধ্যে একজনকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে তারা।
আজ সোমবার ঈদের দিন দুপুর ১২টার সময় পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র হেমন্দ্র সাহা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন শহরের বানিয়াছল এলাকার অটোচালক রমজান মিয়া, তার ছেলে রিফাত, মুহিম এবং সাঠিরপাড়া এলাকার ফয়সাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ত্রাসীরা এক ব্যক্তির গলার অর্ধেক অংশ কেটে ফেলে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একজনের কাটা আঙুল উদ্ধার করেছেন।
আহত রিফাত জানান, তিনি তার বাবা রমজান মিয়াকে নিয়ে অটোরিকশায় যাত্রীসহ বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে পৌঁছালে তাদের অটোরিকশার সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে রমজান মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এরপর মোটরসাইকেল চালক ফোন করে সন্ত্রাসীদের ডেকে আনে।
সন্ত্রাসীরা এসে দা, ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অটোচালক রমজান মিয়াকে আহত করে। তাদের বাঁচাতে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও কুপিয়ে জখম করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত চারজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ফয়সাল নামের একজনের গলা কেটে ফেলে সন্ত্রাসীরা।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অসিম কুমার সাহা বলেন, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা-ছেঁড়াসহ গুরুতর জখম নিয়ে চারজন হাসপাতালে এসেছে। এর মধ্যে ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার গলায় গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদ হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা শনাক্তের কাজ চলছে।