নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

পশুর হাটের সেরা আকর্ষণ :কালা মানিক।

আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫
কোরবানিকে ঘিরে নওগাঁর বদলগাছীতে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে প্রায় ৩০ মণ ওজনের ‘কালা মানিক’। এখন পর্যন্ত গরুটির দাম হাঁকানো হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। এদিকে গরুটিকে উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে জানিয়েছেন উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসার  ডা. রিপা রানী।ঈদুল আজহা যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই অনলাইন ও অফলাইনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে বিশাল আকৃতির এই গরু।
কালা মানিককে একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ।
জানা যায়, ‌‌‌‌‌‌‌‘কালা মানিক’ উপজেলার আধাইপুর গ্রামের খামারি আবু জাফরের বাড়িতে বেড়ে উঠেছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেক ভক্ত তৈরি করে ফেলেছে সে। গায়ের রং কালো হওয়ায় গরুর মালিক ভালোবেসে তার নাম দিয়েছিল কালা মানিক।
খামারি আবু জাফর বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমি গরুর খামার করে আসছি। আমি মূলত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু লালন-পালন করে থাকি। আমার খামারে গত দুই বছর ১১ মাস আগে জন্ম নেয় এই কালা মানিক।
পরম আদরে তাকে লালন-পালন করে আসছি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করেছি এই কালা মানিককে। কোনো ধরনের মোটাতাজাকরণ ওষুধ ব্যবহার করিনি। প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, চালের খুঁদ, খড়, ও গমের ভুসি খাইয়ে তাকে এত বড় করছি। এই ষাঁড়টিকে এবার কোরবানির ঈদে বিক্রি করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভালো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব কালা মানিককে। ইতিমধ্যে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন এই ষাঁড়টি কিনতে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন গরুটি দেখতে। আজকেও একজন ব্যবসায়ী আসছেন কিন্তু দরে দামে হয়নি তাই বিক্রি করিনি।’
স্থানীয়রা বলছে, প্রতিবছর লাভজনকভাবে বড় গরু বিক্রি করে থাকেন খামারি আবু জাফর। এবার বিশাল আকৃতির কালা মানিক লালন পালন করেছেন তিনি। এই কাজে পুরো পরিবার ষাঁড়টিকে লালন-পালন করতে দেখছি আমরা। সরাসরি দেখলে মনে হয় একটি হাতি বাঁধা আছে বাড়িতে।
এদিকে ‘কালা মানিক’কে উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর স্বীকৃতি দিয়েছেন বদলগাছী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. রিপা রানী। তিনি বলেন, ‘উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় এই কালা মানিক। তারা প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খুঁদের ভাত, খড় খাওয়ায়ে বড় করেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ সব সময় খামারিদের পাশে আছে। এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ৫৪ হাজার ৪৬৭টি গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন