নিউজ ডেস্কঃ
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা।দেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (১৫ বা তার বেশি বয়সী) তামাক ব্যবহার করে। আর ৪৬ শতাংশ পুরুষ, ২৫ দশমিক ২ শতাংশ মহিলা তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। ৫৯ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক পাবলিক প্লেসে এবং ৩১ শতাংশ বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তাই অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, একাডেমিক, গবেষক, সমাজের সচেতন নাগরিক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের দাবিতে এক নীতিনির্ধারণী আলোচনা সভায় এসব কথা উঠে আসে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) এটিএম সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হালিদা হানুম আক্তারসহ আরও অনেকে।
এসময় এটিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করার জন্য বাংলাদেশের অনেক তামাক কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। যেমন- তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা প্রচার করছে যে, প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস হলে সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে। বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও ২০১৩ সালে সংশোধনের পর গত ১৮ বছরে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ গুণ। বাংলাদেশ সরকারকে এই দিকে নজর দিতে হবে।