আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
রবিবার, ১১ মে, ২০২৫
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হয়েছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারী। পুঁজি হারিয়ে আত্মহত্যা করার মতো ঘটনাও ঘটেছিল তখন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আশায় ছিলেন- এবার হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে দেশের শেয়ারবাজার। অথচ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ৯ মাসেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখনও ধুঁকছে শেয়ারবাজার।
সূচক ও লেনেদেন নামতে নামতে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। লোকসান দিতে দিতে বিনিয়োগকারীদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। কাফনের কাপড় পরে মিছিলও করেছেন তারা। তারপরও কোনো প্রতিকার মেলেনি। বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিও করেছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে মত তাদের। বিশেষ করে তিনি এখন পর্যন্ত যত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার সবগুলো বিনিয়োগকারীদের বিপক্ষে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন আজ রোববার। আজ দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকের বিষয় ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ বৈঠক আয়োজনের কথা জানায়।
চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। চিঠিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
অবশ্য বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু অর্থ উপদেষ্টা, বিএসইসি চেয়ারম্যান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন না প্রধান উপদেষ্টা। আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), ডিএসই, সিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন, ব্রোকাস অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি সংস্থার প্রতিনিধিদের থাকা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাদের মতে, সব পক্ষের প্রতিনিধি ছাড়া বৈঠক করলে বাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে একপেশে ও অসম্পূর্ণ ধারণা পাবেন প্রধান উপদেষ্টা।