আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
সোমবার, ১৯ মে, ২০২
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রূপে পুলিশকে দেখার প্রত্যাশা হোঁচট খাচ্ছে। কতিপয় পুলিশ সদস্যের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ করছে বাহিনীকে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। অন্যদিকে রাতারাতি পুলিশের মনোভাব পরিবর্তনের প্রত্যাশা ‘অতিপ্রত্যাশা’ বলে মনে করছেন সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে। ঘুষ গ্রহণ, মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবিসহ বিভিন্ন অপরাধে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তবে এ বদলিকে শাস্তি নয় বরং রুটিন বদলি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা। অন্যদিকে এসব শাস্তিকে যথোপযুক্ত নয় বলে মনে করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ বহু পুরোনো। ক্ষমতার অপব্যবহার, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলবাজিতে সহায়তা, ঘুষ গ্রহণসহ পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের দমন-পীড়ন ও নৃশংসতা জনমনে সৃষ্টি করে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণার। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর সবক্ষেত্রে সংস্কারের প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীকে ঘিরে এ প্রত্যাশা ছিল সবচেয়ে বেশি। আগস্টের পর ভেঙে পড়ে পুলিশের মনোবল। মনোবল ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয় সর্বোচ্চ মহল থেকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের পুলিশ বাহিনীতে বিপুলসংখ্যক সদস্যকে রদবদল করা হয়। চাকরিচ্যুত, সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেফতার করা হয় বেশ কিছুসংখ্যক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে, যা অতীতে কখনোই হয়নি। সবশেষ পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও উঠে আসে পুলিশকে জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন উপদেশ-পরামর্শ। তবে কিছু পুলিশ সদস্য এসব উপদেশ-নির্দেশ উপেক্ষা করে নিজেরাই জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। এতে বাহিনীটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের পাশাপাশি আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষের।