নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

পৃথিবীর যেকোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারি’: লিটন।

স্পোর্টস ডেস্ক:
বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫
টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেও প্রথম সিরিজেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তার নেতৃত্বাধীন দলের। তবে সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। লাহোরে কাল থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানান, আগের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে এখন তারা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, ‘শেষ সিরিজটিতে আমরা সন্তোষজনকভাবে খেলতে পারিনি। এটা নতুন সিরিজ, নতুন চ্যালেঞ্জ।’
আরব আমিরাতের বিপক্ষে হারের পর সমালোচনার মুখে পড়তে হলেও সেটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন লিটন, ‘আলোচনা–সমালোচনা হবেই। ভালো ক্রিকেট না খেললে এটা স্বাভাবিক। আমরা জানি কোথায় ভুল করেছি, এবং সেই ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি না করার চেষ্টা করব।’
শারজায় আরব আমিরাত সিরিজের আগে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠেই সিরিজ হারিয়েছিল। সেই সফরে অধিনায়ক ছিলেন লিটনই। তবে এরপরই আমিরাতের বিপক্ষে ২–১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ, যা দলটির ধারাবাহিকতা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
লিটন নিজেও স্বীকার করেছেন এই বাস্তবতা, ‘আমরা যদি ধারাবাহিক হতাম, তাহলে হয়তো বিশ্বের সেরা দলগুলোর ভেতর থাকতাম। আমাদের ঘাটতি আছে, সেটি পূরণে কাজ করছি। প্রতিটি সিরিজেই আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে, আর দল হিসেবে আমরা কিভাবে পারফর্ম করছি সেটাই মুখ্য।’
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও লিটনের ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। শারজার তিন ম্যাচে তিনি করেন ১১, ৪০ ও ১৪ রান। নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘আমার ভূমিকা দলের ব্যাটিংয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করব ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। টি-টোয়েন্টিতে একা হাতে ম্যাচ জেতানো কঠিন। যদি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালো করতে পারি, তবে ফল আসবে।’
পাকিস্তান সফরে বোলিং ইউনিটেও বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। চোটের কারণে নেই অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। তবে লিটনের চোখে এটি নতুনদের জন্য বড় সুযোগ, যদিও তিনি মানছেন লাহোরের উইকেট বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
বাংলাদেশ দলের জন্য এই সিরিজ শুধু ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগই নয়, বরং নেতৃত্বের পরীক্ষায়ও লিটন দাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। পাকিস্তানের মাটিতে ভালো পারফরম্যান্স না শুধু সমালোচকদের জবাব হবে, বরং দলের আত্মবিশ্বাসও ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুন