নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

পেকুয়ায় মাদরাসা ছাত্রীর মাথা ফাটালেন এলজিইডির অফিস সহকারী।

আমারদেশ২৪ ডেস্কঃ

বৃহস্পতিবার , ১৩ মার্চ, ২০২৫

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাদরাসা ছাত্রীকে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে আহসান উল্লাহ নামে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে।

আহত মাদ্রাসা ছাত্রী আরিফাতুল জন্নাত রেশমি (১৫) বারবাকিয়া মৌলভী বাজার ফারুকীয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে টইটং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাইছড়ি নতুন পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা শফিউল আলম (৩৮) ও মা শাহিনাও (৩৩) আহত হয়।

অভিযুক্ত পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের অফিস সহকারী আহসান উল্লাহ টইটং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাইছড়ি নতুনপাড়া এলাকার মোহাম্মদ শরীফের ছেলে।

জানা যায়, সকালে মাদ্রাসা ছাত্রী কোচিংয়ে যেতে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় আগে থেকে ওই ছাত্রীর বাবা-মা বাড়ির ঘেরা মেরাতম করার কাজ করছিল। এ সময় অভিযুক্ত আহসান উল্লাহসহ আরও কয়েকজন ছাত্রীর মা-বাবাকে মারধর করে।

এতে মাদ্রাসা ছাত্রী তার বাবা মা’কে বাঁচাতে গেলে অভিযুক্ত আহসান উল্লাহ ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী আরিকাতুল জান্নাত রেশমিকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত করে।

এ সময় ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অভিযুক্ত আহসান উল্লাহসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা ওই ছাত্রীসহ আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এলজিইডি অফিস সহকারী আহসান উল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা ছাত্রীর মাথা ফাটানোর কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার বাবার সাথে ওই ছাত্রীর বাবা-মা’র ধস্তাধস্তি হয়, এতে ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। আমি ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি ।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রীকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

আরও পড়ুন