নিউজ ডেস্কঃ
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
নুরে আলম। পেশায় জেলে। সাতক্ষীরার সুন্দরবন অঞ্চলে খাল-নদীতে মাছ ধরেন বংশপরম্পরায়। সম্প্রতি তিনি একটি ১০ টাকার নোট কিনেছেন ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। তবে এটি কোনো সাধারণ নোট নয়। নোটটি জলদস্যুদের দেওয়া চাঁদাবাজির ‘কার্ড’।
যেটি সঙ্গে থাকলে নিরাপদে মাছ ধরতে পারেন নুরের মতো জেলেরা। নোটটটি দেখালে অন্য কোনো জলদস্যু তাদের আক্রমণ করবে না। জলদস্যু বা ডাকাতরা ওই ১০ টাকার নোটের সিরিয়াল নম্বরটা (টাকার নম্বর) তাদের ডায়েরিতে লিখে রাখে। প্রত্যেক বোটের নামের পেছনে দেওয়া হয় একটি সিরিয়াল নম্বর। সিরিয়ালে জেলে, মাঝি ও বহদ্দারের নাম লেখা থাকে। সাগরে গেলে ওই ১০ টাকার নোটটা সঙ্গে রাখতে হয় জেলেদের।
গত ৫ আগস্টের পর খুলনা-সাতক্ষীরাসহ সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার এটি এখন সাধারণ চিত্র। বেশ কয়েক বছর শান্ত থাকার পর গত ৭ মাস ধরে আবারও উৎপাত বেড়েছে সুন্দরবনকেন্দ্রিক জলদস্যুদের। অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ তাদের নানা অত্যাচারে দিশাহারা স্থানীয়রা। জেলেরা মাছ ধরতে ভয় পাচ্ছেন। জীবিকার তাগিদে জঙ্গলে যেতে ভয় পাচ্ছেন সুন্দরবনকেন্দ্রিক স্থানীয় পেশাজীবীরা। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা জানান, যৌথ টহল বৃদ্ধির মাধ্যমে শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আনা হবে জলদস্যুদের।