নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

বাংলাদেশে ঢুকে কৃষকদের পেটানোর ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ।

নিউজ ডেস্কঃ

রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সীমান্তে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ৫ কৃষককে পিটিয়ে আহত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দ বকশী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানালে দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটানোর আশ্বাস দেয়।

বিএসএফের হামলায় আহত কৃষকরা হলেন- ফুলবাড়ীর কৃষ্ণানন্দ বকশী গ্রামের মো. শামসুল, জাবেদ আলী, তাজুল ইসলাম, মো. রিপন ও কাশেম আলী।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ফুলবাড়ীর বারোমাসিয়া নদীর তীরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তের ৯৩০ সাব-পিলারের কাছে কয়েকজন কৃষক নিজেদের জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় ভারতের নারায়ণগঞ্জ-১৩৮ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গোড়কমণ্ডল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

বাংলাদেশি কৃষকরা বাধা দিলে বিএসএফ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে বন্দুকের বাট দিয়ে তাদের আঘাত করেন। এতে পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পরে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে বিএসএফ সদস্যদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। তবে কী কারণে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিলেন, তা জানা যায়নি।

মারধরের শিকার মো. শামসুল বলেন, ভারতের পাঁচ জওয়ান শূন্যরেখা পার হয়ে গ্রামে ঢুকে পড়েন। আমি জমিতে কাজ করছিলাম। তারা বলে, এখানে থাকা যাবে না, তোমরা চলে যাও। আমি বলি, আমার জমিতে আমি কাজ করব না কেন, আপনারা আপনাদের দেশে চলে যান। এরপর বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা মারধর করে।

স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, বিএসএফ সদস্যরা স্থানীয়দের মারধর করলে আমরা গ্রামবাসী একজোট হয়ে ধাওয়া দিই। এরপর তারা পালিয়ে যায়।গতকাল শনিবার গোড়কমণ্ডল বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিএসএফের মারধরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি শান্ত।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ্ মো. শাকিল আলম জানান, শনিবার দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে। ভবিষ্যতে এমনটা ঘটবে না বলেও জানিয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।

 

আরও পড়ুন