আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
নির্বাচনি আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিধিমালায় নির্বাচনি প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে সংস্থাট। একই সঙ্গে আচরণবিধি পালন নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। গতকাল সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আচরণ বিধিমালার খসড়া করার জন্য বসেছিলাম। প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত করে কমিশনে প্লেস করব। এরপর কমিশন চূড়ান্ত করবে। সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করব। আশা করি চমৎকার আচরণবিধি হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনি ব্যয় ন্যূনতম রেখে শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয় গ্রামীণ পর্যায়ে একেবারে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে যেন প্রচার-প্রচারণা করতে পারে, সে ধরনের একটা মনোভাব নিয়ে করতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে আরপিও যেখানে সংশোধন করার প্রয়োজন হবে সেখানে সংশোধন করা হবে।
পোস্টার থাকবে কি থাকবে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এরকমই। সে প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়টিও আছে। গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেগুলোও ভাবছি। আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতার জন্য যে টুলসগুলো আছে, সেগুলোকে শক্তিশালী করব। দুইশ টাকা, পাঁচশ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরও বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। আচরণবিধির বাইরেও পেনাল কোড আছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দল নিবন্ধনের যে বিজ্ঞপ্তি এতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন রিট করেছে। এটা শুধু তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। দুয়েকটি দল আবেদন করেছে। এখন ২০ এপ্রিলে মধ্যে যদি অনেক দল আবেদন করে তা হলে একরকম হবে। তবে ২০ তারিখ এলে বোঝা যাবে সময় বাড়ানো হবে কি না। একটি দল আবেদন করেছে। আমাদের ধারণা ২০ এপ্রিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল আবেদন করার জন্য প্রস্তুত। বর্তমান আইন অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এ জন্য অংশীজনদের সঙ্গেও বসব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সীমানা নির্ধারণ আইনে করণিক ভুলটি সংশোধনের জন্য করা প্রস্তাবটা আমরা পাঠিয়েছিলাম। অনুমোদন এখনও কেবিনেট থেকে পাইনি। না পেলে বিদ্যমান আইনেই সীমানা নির্ধারণ হবে।