নিউজ ডেস্কঃ
সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
প্রায় ১ হাজার ৮০০ দোকান রয়েছে রাজধানী সুপার মার্কেট ও নিউ সুপার মার্কেটে। মার্কেট দুটির চারিদিকের ফুটপাথ ও দেয়াল ঘেঁষে রয়েছে ৮ শতাধিক অস্থায়ী দোকান। ঈদ সামনে রেখে এসব দোকানের আকার অনুযায়ী ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা করে চাঁদা চাওয়া হয়েছে। ঈদের ৩ দিন আগে লোকজন এসে টাকা নিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। চাঁদা না দিলে শেষ ৩ দিন দোকান খুলতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছে। কারণ যারা চাঁদা চেয়েছে তারা পুরোনো চিহ্নিত চাঁদাবাজ। এ অবস্থায় বেশিরভাগ ব্যবসায়ী মুখ না খুললেও চাঁদামুক্ত হতে চান তারা। কারণ দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও যদি চাঁদাবাজরা চাঁদা নিতে পারে, তা হলে ভবিষ্যতে এরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
শুধু রাজধানী সুপার মার্কেট নয়, রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল ও ফুটপাথের দোকানগুলোত নীরবেই চলছে চাঁদাবাজি। কোথাও রসিদ দিয়ে ঈদ উৎসবের টাকা চাওয়া হয়েছে, কোথাও অস্ত্র প্রদর্শনের পর চাঁদাবাজ গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত ঈদগুলোতে যেভাবে শীর্ষ সন্ত্রাসী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের নামে বকশিশ তোলা হতো, এবার সে রকমভাবে চাঁদাবাজি নেই। বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে বের হওয়ার পরও তাদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। আর ফুটপাথে অবৈধ দোকান ঘিরে নীরবে যে চাঁদাবাজির ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলোতে চাঁদাবাজ ও ব্যবসায়ী, উভয় পক্ষই লাভবান থাকেন কোনো না কোনোভাবে। ফলে পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করেন না, আবার পুলিশ জানতে চাইলেও কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। এরপরও পুলিশ চাঁদাবাজদের ঠেকাতে তৎপর রয়েছে।