নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

বিষ মিশিয়ে ২ মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা বাবার।

 

আমারদেশ২৪ ডেস্ক:
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১ ঘন্টা আগে।

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় লাচ্ছির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবা নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন আছেন বাক প্রতিবন্ধী বাবা মনু মিয়া।আজ সোমবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামের চকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষক্রিয়ায় নিহতরা হলেন- তুলাকান্দি গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী মনিরা (৮) ও সানজু আল ফাতেহা (৫)। বেঁচে গেছেন বাকপ্রতিবন্ধী বাবা মনু মিয়া(৩৫)। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া। মনু মিয়ার ২ মেয়ে মনিরা  ও সানজু আল ফাতেহা বাকপ্রতিবন্ধী। একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তি বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় মানুষজন কটু কথা বলায় সহ্য করতে না পেরে লাচ্ছির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেয়ে মনিরা ও সানজু আল ফাতেহাকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

স্থানীয়রা খবর পেয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। মনু মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা।

তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.সরফরাজ হোসেন খান বলেন, সকাল ৮টার দিকে মনু মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতেহার মৃত্যু হয়। বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা পুলিশের কাছে দুইজনের লাশ হস্তান্তর করেছি।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহীদ উল্লাহ বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বাকপ্রতিবন্ধী, দারিদ্র্য ও পারিবারিক হতাশা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ২ শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পেছনের কারণ আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন