নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

ভয়ানক চাপে ভারতে আশ্রিত আ.লীগাররা।

AmarDesh24.com
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার পতনের পর ৯ মাস ধরে ভারতে অবস্থান করলেও, সাম্প্রতি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে তারা নতুন করে চাপে পড়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে—বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশে আশ্রয় নিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার নেতা-কর্মী, যাদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। এমনকি কিছু উচ্চপদস্থ সাবেক সরকারি কর্মকর্তাও ভারতে গেছেন।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে বসবাসকারীদের দেশ ছাড়তে হবে। এরই অংশ হিসেবে কয়েকটি রাজ্য থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক করে ‘পুশব্যাক’ করা হচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতারা এর আওতায় পড়েননি, তবে আগস্ট মাসের পর বড় পরিসরে অভিযান শুরু হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী আশ্রিত আওয়ামী লীগ নেতাদের সাময়িকভাবে ২-৩ মাস সময় দিতে পারে, যাতে তারা তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাকিরাও নিরাপদ দেশে আশ্রয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশে ফেরার মতো নিরাপদ পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি। জীবনের ঝুঁকি এখনও কাটেনি। ফলে ভারত ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো উপায় নেই।
এদিকে, ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকার বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এতে দলটির নেতা-কর্মীদের দেশে ফেরার সম্ভাবনা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রাজনীতিবিদদের মতে, ভারতের এই কড়াকড়ি অবস্থান শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নয়, আঞ্চলিক কূটনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর ভবিষ্যৎও আন্তর্জাতিক মহলের জন্য বিবেচনার দাবি রাখে।

আরও পড়ুন