মাদারীপুরে মসজিদে প্রবেশ করে ৩ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন প্রধান আসামি হোসেন সরদার (৬০) ও তার অন্যতম সহযোগী সুমন সরদার (৩৩)।হোসেন সরদার মাদারীপুর সদর থানাধীন খোয়াজপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিহত ব্যক্তিদের সম্পর্কে চাচা।
এসময় সাইফুল সরদার ও তার ২ ভাই প্রাণ বাঁচাতে সরদার বাড়ি জামে মসজিদে আশ্রয় নেন। তখন হোসেন সরদারের নির্দেশে অন্য আসামিরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার ও তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করে। পাশাপাশি আরও কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। হামলার সময় আসামিরা চারটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করে।
তিনি বলেন, স্থানীয়রা হতাহতদের মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সাইফুল সরদার (৩৩) ও তার আরেক ভাই আতাউর সরদারকে (৩৫) মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া হামলায় আহত অলিল সরদার, পলাশ সরদার ও তাজেল হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক নিহত সাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে (১৮) মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ বলেন, বিষয়টি র্যাবের নজরে এলে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে র্যাব-৪ এর সহায়তায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন চিত্রাশাইল এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-৮ এর সদস্যরা। অভিযানে কাঠালতলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে হোসেন সরদরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, অপর অভিযানে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার আরিগাও এলাকা থেকে সুমনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গেছে উভয় পক্ষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সম্প্রতি উভয় পক্ষের মধ্যে বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তার সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ড হয়।