নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ, ২০২৫
বাংলাদেশ টানা নয় বছর ধরে বিশ্বব্যাপী শিপ রিসাইক্লিং সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। সীতাকুণ্ড উপকূলের ২০ কিলোমিটার এলাকা কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই শিল্পে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ এবং বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ২.৪৬ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা)। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে এই খাত থেকে ১২শ’ থেকে ১৪শ’ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়। যদিও এই শিল্পটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনি মান মেনে চলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, বর্তমানে এটি এক দশকের মধ্যে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির সর্বনিম্ন স্তরের মুখোমুখি হচ্ছে। এই ক্ষেত্রের পতন রোধ করতে অবিলম্বে সরকারি সহায়তা এবং নীতিগত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল বুধবার গোলটেবিল বৈঠকে এসব উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) হোটেল শেরাটনের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশে শিপ রিসাইক্লিং শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ বক্তা ছিলেন, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জমান ফুয়াদ এবং নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন।
অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন নেদারল্যান্ডসের উপ–রাষ্ট্রদূত থিজস উডস্ট্রা, ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার হুবার্ট ব্লম, জাইকার শিপ রিসাইক্লিং উপদেষ্টা ওকামোটো আকিরা। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কামাল উদ্দিন আহমেদ, লিয়াকত আলী চৌধুরী, মো. লোকমান, নাঈম শা ইমরান, হোসেনুল আরেফিন, খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন।
আমীর খসরু চৌধুরী বলেন, শিপ রিসাইক্লিং শিল্প সারকুলার ইকোনমির একটি ক্লাসিক উদাহরণ। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্প উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে নিরাপদ ও পরিবেসম্মত গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং শিল্প পরিচালনার দিকে অগ্রগতি সত্ত্বেও, এই শিল্পের নেতৃত্ব বজায় রাখতে এবং সর্বাধিক রাজস্ব উৎপাদনের জন্য নীতিগত সমর্থন এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
আসাদুজ্জমান ফুয়াদ বলেন, এই ক্ষেত্রটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তবুও এই উন্নয়নগুলি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী অজানা রয়ে আছে। ভুল তথ্য এবং নেতিবাচক প্রতিবেদন যে কোন শিল্পের সম্ভাবনার ক্ষতি করতে পারে।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের জাহাজ পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প এবং আন্তর্জাতিক মানের দিকে তার উত্তরণকে সমর্থন করে।