নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

শেয়ারবাজারের ৭শ কোটি টাকা লুট করে লাপাত্তা হাসান তাহের ইমাম।

 নিউজ ডেস্কঃ
 মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
দেশের শেয়ারাবাজার থেকে ৭শ কোটি টাকা লুট করে লাপাত্তা রয়েছেন ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হাসান তাহের ইমাম। তার বিরুদ্ধে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলেও নেয়া হচ্ছে না ব্যবস্থা।
হাসান তাহের ইমাম এসব অপকর্ম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পলাতক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার ভাতিজা সাবিরুলকে (সাবির) ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার লুট করে পাচার করা হয়েছে শতকোটি টাকা। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করে হাসান তাহের ইমাম দেশে-বিদেশে গড়ে তুলেছেন স্ত্রী-সন্তানদের নামে অবৈধ সম্পদ।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির সম্মুখীন করতে হাসান তাহের ইমাম বিভিন্ন ধরনের ছকে করেছেন প্রতারণা। নিজের নিয়ন্ত্রিত ব্রোকারেজ হাউজ মাল্টি সিকিউরিটিজকে ব্যবহার করে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন শত শত কোটি টাকা। ব্যবহার করেছেন নিজস্ব ব্যক্তিস্বার্থের বেশ কিছু কোম্পানির অ্যাকাউন্টও। তার মধ্যে রিট করপোরেশন, ভাইকিংস, টার্ন বিল্ডার্স, বিডি এসএমই করপোরেশন, একাসিয়া ফান্ডস, ইনভেস্ট এশিয়া ক্যাপের মতো অ্যাকাউন্টগুলো অন্যতম।
উল্লিখিত এসব সিকিউরিটিজের মাধ্যমে জালিয়াতি করে বিনিয়োগকারীদের কষ্টার্জিত শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তথ্য উঠে এসেছে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে।
এ ছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুটপাট ও ফায়দা হাসিলের জন্য তিনি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির (বিজিআইসি) বোর্ডে থাকা তিন ব্যক্তিকে ব্যবহার করেছেন। নিজের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বড় বোনকেও বিজিআইসিতে অন্তর্ভুক্ত করেন হাসান ইমাম। লোপাটের টাকায় নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে শতকোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, হাসান তাহের ইমাম এই অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণ করে ভাগিয়ে নেয়া টাকায়।

আরও পড়ুন