নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সর্বশেষ

সংসদ ভবন নাকি গণপরিষদ।

নিউজ ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে সংযোজন-বিয়োজন, ৪ বছর মেয়াদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা গঠন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্যসহ সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। তবে এসব সুপারিশ কত সময়ের মধ্যে ও কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে মতবিরোধ।

নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দাবি গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। অন্যদিকে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দল মনে করছে সংবিধান সংস্কারের জন্য গণপরিষদ গঠন করার কোনো প্রয়োজন নেই। এটির কোনো রাজনৈতিক কারণও নেই। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদই সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে। তাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্যই গণপরিষদের বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে।

সংস্কারবিহীন নির্বাচন কোনো কাজে দেবে না মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে তাদের অবস্থান হচ্ছে গণপরিষদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে। অন্যথায় সংসদের মাধ্যমে সংস্কার টেকসই হবে না। ইতিহাসেও এটিই দেখতে পাই। এনসিপি গঠনের দিনও গণপরিষদের কথা বলা হয়েছে। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার সম্প্রতি এক নিবন্ধে লিখেছেন, যদি কোনো দেশের পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে রাষ্ট্র সংস্কার, মেরামত বা পুনর্গঠন করতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান সভা অথবা গণপরিষদ নির্বাচন আহ্বান করতে হয়। নির্বাচিত গণপরিষদ তর্ক ও বাহাসের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনগণের সামনে একটি খসড়া সংবিধান পেশ করে। গণভোটের মাধ্যমে জনগণ ওই সংবিধান অনুমোদন করার পর রাষ্ট্র গঠনের কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয়।

তার মতে, সাধারণত বড় কোনো আন্দোলন বা গণঅভ্যুত্থানের পর এ ধরনের মুহূর্ত হাজির হয়। যদি প্রতীয়মান হয় যে বিদ্যমান সংবিধান গণ-অভিপ্রায়ের ধারক হতে ব্যর্থ হচ্ছে কিংবা বিদ্যমান সংবিধানের মধ্য দিয়ে আর জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটছে না, তখন সংবিধান প্রণয়ন অথবা নিদেনপক্ষে সংস্কারের বিকল্প থাকে না। নির্বাচিত গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়নের এ মহাযজ্ঞ সম্পন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্তত দুবার (১৯৭২ ও ১৯৯১ সালে) এই ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর পিছুটান ও রক্ষণশীলতার কারণে রাষ্ট্রের গণতন্ত্রীকরণের আবশ্যিক কাজ হাতে নেওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন