ঈদুল আজহায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ, চামড়া ও চোরাচালান রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। এছাড়া পুশইন প্রতিরোধে সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন বিজিবি-১ ব্যাটালিয়ন রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হক।
তিনি বলেন, রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত পুশইন হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে পুশইনের বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে সবধরনের পাচার রোধে টহল বৃদ্ধি ও গোয়েন্দা নজরদারিসহ স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যেখানে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, সেখানে বিজিবি বিএসএফের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, রাজশাহী জেলার ৭৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে। এর মধ্যে ক্যাম্প আছে ১৬টি। চেকপোস্ট আছে একটি। আরও একটি চেকপোস্ট যৌথভাবে পরিচালনা করা হয়। এই ৭৬ কিলোমিটার সীমান্ত দেশপ্রেমিক সাধারণ জনতাকে নিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে।
অধিনায়ক বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবানির পশু দেশেই মজুদ রয়েছে। দেশীয় খামারিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এজন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চোরাই পথে গরু-মহিষ দেশে প্রবেশ বন্ধে বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু গরু জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যেতে না পারে সেজন্যও সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বিজিবি।
এছাড়া ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা নিজেদের ছুটির চিন্তা না করে, সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর আছে এবং থাকবে।
