নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
গুণে গুণে তারা চল্লিশজন কিশোরী। সুরাইয়া, ফারজানা, পাফিয়া, সুমনা খাতুন, রাফিয়াসহ সবাই বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। কেউ সবে মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ছে, কেউবা উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে স্নাতকের শিক্ষার্থী।
তাদের কারও বাবা প্রান্তিক কৃষক, কেউবা রিকশা-ভ্যান কিংবা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক আর কারও বাবা কৃষি শ্রমিক কিংবা দিনমজুর। ‘নুন আনতে পান্তা ফুরানো’ অবস্থা এসব পরিবারের। অসচ্ছল কিন্তু অদম্য এই চল্লিশ কিশোরীর সবাই পরিবারের অভাব-অনটন আর নানা সামাজিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে কোনোরকম মানসিক শক্তিতে শিরদাঁড়া সোজা রেখে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।
আত্মকর্মসংস্থান ও যৌতুকবিরোধী প্রকল্পের আওতায় অসচ্ছল কিশোরীদের স্বাবলম্বী করার জন্য সম্প্রতি গাইবান্ধার এই চল্লিশ কিশোরীকে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন। দীর্ঘ চার মাস প্রশিক্ষণ শেষে তাদের দেওয়া হয় এসব সেলাই মেশিন।
সেই সঙ্গে টেইলারিং শপ গড়ে তুলতে প্রত্যেককে মূলধন বা ব্যবসার পুঁজি হিসেবে দেওয়া হয় এককালীন নগদ অর্থ সহায়তা। প্রশিক্ষণ, সেলাই মেশিন ও ব্যবসা পরিচালনার পুঁজি পেয়ে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা এই কিশোরীদের বিষণœ মুখে ফুটল হাসির ঝিলিক। তারা এবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন।