নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

হোয়াটসআপ গ্রুপে চলছে বাজার নিয়ন্ত্রণ চালের বাজার টালমাটাল।

নিউজ ডেস্কঃ
সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
চালের দাম ক্রেতার নাগালে আসছেই না, উল্টো আরও বেড়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকলেও সপ্তাহখানেকের মধ্যে চালের বাজার টালমাটাল হয়ে পড়েছে। মিল পর্যায়, পাইকারি ও খুচরা, সবখানে আবারও বেড়েছে চালের দাম। মিল পর্যায়ে কেজিতে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা, পাইকারিতে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা এবং খুচরাতে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। হঠাৎ করেই ফের চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
এদিকে হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিলমালিক এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা যোগসাজশে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের মতো করে মূল্য নির্ধারণ করে দাম বাড়াচ্ছেন। এ ছাড়া করপোরেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও মিলমালিকরা যোগসাজশ করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা পর্যায়ে। এ ছাড়া করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার থেকে বেশিরভাগ ধান চড়া দামে কিনে নেওয়ায় মিল মালিকরা চাহিদামতো ধান পাচ্ছেন না। এতে ধানের দামও মণপ্রতি বেড়ে গেছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। মূলত এসব কারণেই চড়ছে চালের বাজার। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চাল দেশের মানুষের প্রধান খাদ্যপণ্য, তাই চালের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় সাধারণ মানুষের।
এ মন্তব্য করে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, ‘এবার রোজার মাসে রোজাকেন্দ্রিক পণ্যে মোটামুটি স্বস্তি মিললেও চাল বেশ ভোগাচ্ছে দেশের মানুষকে। বিগত কয়েক মাস দাম না বাড়লেও চালের বাজার উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই একবারে চালের দাম কেজিতে ৬ টাকা, কোথাও ৮ টাকাও বেড়ে গেছে। একবারে যদি কেজিতে ৮ টাকা বাড়ে চালের তা হলে কীভাবে চাল কিনবে স্বল্প আয়ের মানুষ। কারণ গরিব পরিবারগুলোর মাছ-মাংস কেনার সামর্থ্য না থাকলেও তিন বেলার খাবারের জন্য চাল কিনতেই হয়। সুতরাং এভাবে চালের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের কষ্ট বেড়েছে। সরকারের উচিত হঠাৎ কেন চালের দাম এতটা বাড়ল তার সঠিক কারণ খুঁজে বের করা। সরকারকে অবশ্যই চালের বাজারে তদারকি বাড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবজির বাজারে তদারকির জন্য কেউ না কেউ যায়, চালের বাজারে তেমন কেউ যায় না। এ ছাড়া যারা আমদানিকারক, তারাই মিলার, আবার তারাই করপোরেট গ্রুপ। তারা মিলেমিশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় বলা হতো, সবকিছু ঠিক আছে বাজারে, এখনও সেভাবেই বলা হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর আরও সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।’
গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা দোকানে রশিদ, ডায়মন্ড, সাগর ইত্যাদি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৮৫ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয় মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল, কেজি ৯৮-১০০ টাকা।

আরও পড়ুন