নিউজ ডেস্কঃ
মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জোয়েল লে স্কাউরনেক— পেশায় একজন চিকিৎসক তিনি। তবে মহান এই পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন বেশ দাগ টেনে। শৈশব-কৈশোর ও যৌবনের গণ্ডি পেরিয়ে রচনা করেছেন এক জঘন্য ইতিহাস।
৭৪ বছর বয়সী এই ফরাসি বৃদ্ধ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ শিশু-নাবালিকাকে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। চলতি মাসের শেষ দিকেই যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের একাধিক মামলার ট্রায়াল শুরু হবে আদালতে। দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে এই ফ্রেঞ্চ সার্জনের।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, মূলত শিশু-নাবালিকা রোগীদের ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থা করতেন স্কাউরনেক। তার বিরুদ্ধে ১১১টি ধর্ষণ এবং ১৮৯টি যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ৩০০ নির্যাতিতার মধ্যে ২৫৬ জনের বয়স ছিল ১৫ বছরের নীচে। গড়ে তাদের বয়স ছিল ১১ বছর। নির্যাতিতাদের মধ্যে একবছরের শিশুও রয়েছে। ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন তিনি।
পুলিশ আরও জানায়, নির্যাতিতাদের মধ্যে স্কাউরনেকের দুই খুদে আত্মীয়ও রয়েছে। এসব ঘটনায় ২০২০ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা কর হয়েছিল সে সময়। এর আগে, ২০১৭ সালে এক প্রতিবেশী নাবালিকা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। এরপর আরও একাধিক নির্যাতিতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে থাকেন।
গ্রেপ্তারের সময় ওই চিকিৎসকের ঘর থেকে তিন লাখ অশ্লীল ছবি, প্রচুর সেক্স টয়, শিশুদের সঙ্গে সঙ্গমের ছবি উদ্ধার করে পুলিশ। একটি ডায়েরিতে নির্যাতিতাদের নাম লিখে রেখেছিলেন তিনি। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, একাধিক নাবালিকাকে অপারেশন টেবিলেও যৌন হেনস্থা করেছিলেন স্কাউরনেক। তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রীও।