পরিবর্তন করে নাই। নিজেদের আইনও নিজেরা ভাঙার শক্তি অর্জন করেছিল,এটাই ছিল সমস্যা। তাই আইন ঠিক করতে হবে, আবার ক্ষমতার কাঠামোও ঠিক করতে হবে।
সংস্কারের মাধ্যমে শুধু আইনকানুন পরিবর্তন করলে হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি গোপন ক্ষমতা কাঠামো গড়ে উঠেছে। এ গোপন ক্ষমতার বিন্যাস ভাঙতে হবে। কারণ দলের পরিবর্তন হলেও গোপন শক্তিটি নতুন দলের সঙ্গে ভিড়ে যাবে। এ কাজটা এখনই করতে হবে। তা রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, ক্ষমতার গোপন কাঠানো ভাঙতে না পারলে আপনারা ভালো কিছু চাইলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। কারণ আপনার দলেরই এমপি, নেতারা তা ঠেকিয়ে দেবে। মুশতাক হুসাইন খুনিদের বিচারের পাশাপাশি বড় বড় চোরদের বিচার করার পরামর্শ দেন।
সংলাপে ধারণাপত্র পাঠ করে সাংবাদিক মনির হায়দার বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের পতন ঘটানোর জন্য সব চিন্তা ও ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এটা ছিল জুলাই আন্দোলনের একটা অভূতপূর্ব দৃশ্য। এখন এক ধরনের অনৈক্যের সুর শোনা যাচ্ছে, যা অভ্যুত্থানের পক্ষের মানুষকে চিন্তিত করছে।
ঐক্য না হলে সংস্কার হবে না, সংস্কার না হলে নির্বাচন হবে না। এজন্য জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে।
সংলাপের শুরুতে কথা বলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক, নিহত ইমাম হোসেনের ভাই রবিউল আওয়াল, উত্তরা চব্বিশের সংগঠক মনিশা মাফরুহা, নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান। আবু বকর বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চার মাসের মধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
জাতি হিসাবে এটা আমাদের জন্য ব্যর্থতা এবং গণঅভ্যুত্থানে আহত নিহতদের জন্য এটা অপমানজনক। গণ আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঠিক পুনর্বাসন ও খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।