চট্রগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। বলেছেন, মামলার সিডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছাড়া মামলার ট্রায়াল ক্ষতিগ্রস্ত হবে CD এটি ছাড়া আদালতে পিপি কথা বলতে পারেনা আদালতের মতো সিক্রেট জায়গাতে কিভাবে এতবড় ঘটনা ঘটে স্থাপনার নিরাপত্তায় শৈথিল্য ভাব দেখে আমরা উদ্বিগ্ন। আদালত বা জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেজারি শাখা থেকেএত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বা স্ট্যাম্প যদি গায়েব হয়ে যায় তাহলে আরো বড় সমস্যা দেখা দেবে। এজন্য আদালত প্রাঙ্গনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। সেটি হতে হবে খুবই সিক্রেট
তিনি বলেন, আদালতে পিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রেকর্ড রাখার মতো প্রয়োজনীয় কক্ষের ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত লোক নেই। শুধুমাত্র একটি ছোট কক্ষে পিপি অফিস করেন। সেখানে মামলার সিডিতে ভরপুর। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অফিসটির সামনের বারান্দায় প্রায় দুই হাজার মামলার সিডি রাখা হয়েছিল। এখন সেগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনাস্থল নতুন আদালত ভবনের তৃতীয় তলা ও এর উপরের চতুর্থ তলায় সিসিটিভি নেই সম্ভবত। তবে নিচতলা ও দোতলায় রয়েছে। আদালতপাড়ায় জেলা প্রশাসন ও জেলা আইনজীবী সমিতির সিসিটিভি রয়েছে। আশা করছি, তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ফুটেজ চেক করে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেবে। তদন্ত সংস্থা কাজ শুরু করেছে শুনেছি। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
চট্টগ্রাম আদালতপাড়ার নতুন আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির অফিস। অফিসটির বাইরে বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার সিডি রাখা হয়েছিল। এসব সিডি গায়েব হয়েছে মর্মে গত রোববার নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূইয়া। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, মহানগর পিপি অফিসে প্রায় ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেইস ডকেট রাখা ছিল। পিপি অফিসে জায়গার স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পিপি অফিসের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় মোট ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেইস ডকেট পলিথিনে মুড়িয়ে স্তূপ আকারে রাখা ছিল।
সর্বশেষ গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মহানগর কোর্টের ভেকেশন কোর্ট ছিল। তারপর থেকে মহানগর আদালত ও পিপি অফিস বন্ধ থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে হারিয়ে গেছে। আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করেও কেইস ডকেটগুলো পাওয়া যায়নি।