নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

যদি খোলা তেল ১৬০ টাকার বেশি নেয়: ম্যাজিষ্ট্রটকে জানান,চসিক মেয়র।

আমারদেশ২৪

বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫

১৬০ টাকায় কিনবেন এবং এটা (বোতলজাত) আগে ১৯৫ টাকা বিক্রি করলেও আজ ১৭৫ টাকা বিক্রি করছে। যারা বোতলজাত করছে তাদের সাথে কথা বলে আরো ৫–১০ টাকা কমানোর ব্যবস্থা করছি। যদি খোলা তেল ১৬০ টাকার বেশি নেয় সাথে সাথে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটদের জানাবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এরপর মেয়র মেসার্স হোসাইন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর–এ উপস্থিত হয়ে খোলা তেল আছে কীনা জানতে চান মেয়র। তখন দোকানদার ‘না’ বললে তাকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির আহ্বান জানিয়ে শাহাদাত বলেন, খাতুনগঞ্জ থেকে ১৫৫ টাকা করে নিয়ে এসে ১৬০ টাকায় বিক্রি করবেন। যদি খাতুনগঞ্জে ১৫৬ টাকাও বলে আমাদের জানাবেন, তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব।

এরপর মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, আজ আমরা চট্টগ্রামের ভিআইপি বাজার কাজীর দেউড়ি এসে দেখতে পাচ্ছি যে বোতলগুলো এতদিন গায়েব হয়ে গিয়েছিল সেগুলো আজ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী কাল থেকে এটা আরো এভেইলেবল হবে। কয়েকটা দোকান ভিজিট করে দেখলাম বোতল পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু খোলা তেল আনেনি। তাদের আনার জন্য বলেছি।

এ সময় দোকানদাররা পূর্বে বেশি দামে ক্রয় করায় ১৬০ টাকায় খোলা তেল বিক্রি করতে পারছে না দাবি করছে জানালে মেয়র বলেন, আমরা যে নির্দেশনা দিয়েছি সেটা তাদের অনুরসরণ করতে হবে। ফলো না করলে আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। সে যত টাকা দিয়েই কিনুন, সেটা আমাদের ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটা বলবৎ থাকবে। আমি বারবার বলছি, আমরা খোলা সয়াবিনের ১৬০ টাকা যে মূল্য নির্ধারণ করেছি সে অনুযায়ী বিক্রি করতে হবে। যে অমান্য করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এরপর মেয়র ভাই ভাই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে প্রবেশ করে খোলা তেল বিক্রি করতে বলেন। ওই দোকানে বোতলজাত ১৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও খোলা সয়াবিন বিক্রি করা হচ্ছিল না। সবশেষে মেয়র চেমন আরা গ্রোসারি নামে একটি দোকানে উপস্থিত হন; সেখানেও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছিল না। এসময় সেখানে উপস্থিত এক বিক্রেতা বলেন, সয়াবিন তো পাওয়ায় যাচ্ছে না। তখন মেয়র তাকে বলেন, আপনি খাতুনগঞ্জ গেছেন? জবাবে বৃদ্ধ না বললে, মেয়র বলেন, খাতুনগঞ্জে যান। সেখানে ১৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখান থেকে এনে আপনারা ১৬০ টাকায় বিক্রি করুন।

অভিযান অব্যাহত থাকবে : পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের শাহাদাত নির্ধারণ করে দেয়া দাম শতভাগ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বলেন, কাজীর দেউড়ি বাজারে খোলা তেল এখন পর্যন্ত দেখছি না। তবে বোতলজাত যেটা উধাও হয়ে গিয়েছিল সেটা আজকে এমআরপি রেইটে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বাজারে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট আছে, তারা দেখছে।

মেয়র বলেন, ১৬০ টাকায় খোলা সয়াবিন বিক্রি করতে হবে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট আছে, তারা মনিটরিং করবেন। জনগণের জন্য যেটা যেটা করা দরকার সেটা করব। রোজার মাস, সিয়ামের মাসে মানুষকে তাদের স্বস্তির জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। আমরা যে রেইট বলেছি সেটা যতক্ষণ শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে না ততক্ষণ আমাদের অভিযান চলতে থাকবে, এটা থামবে না।

 

আরও পড়ুন