নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

এবারের রোজায় নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম।

নিউজ ডেস্কঃ
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবারের রোজায় নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে বেশ কম রয়েছ। বেগুন-লেবুর মতো কয়েকটি পণ্য ছাড়া অধিকাংশ পণ্যই ক্রেতারা নাগালে রয়েছে। আর মধ্য রোজার বাজারেও পণ্যের দামে ক্রেতাকে বেশ স্বস্তি দিচ্ছে। বিশেষ করে সবজির দাম নিয়ে এবার ক্রেতাদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই।
বাজারে এখন দুই-তিন রকমের সবজির আইটেম ছাড়া বাকি সবজিগুলোর দাম বর্তমানে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। মূলত এখন মৌসুম নয় এমন সবজিগুলোর দাম বাজারে বাড়তি যাচ্ছে। পাশাপাশি রমজানের শুরু থেকে বাজারে বেগুনের দাম সেঞ্চুরি হাঁকালেও বর্তমানে তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকি সবজিগুলোতে ক্রেতাদের স্বস্তি রয়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।
বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি শসা ৫০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, লেবু মানভেদে প্রতি হালি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আদার কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা।  দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সোনালি কক মুরগির কেজি ২৭০ টাকা। সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৬৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশের কেজি আকার-ওজনভেদে এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকা।
এদিকে পবিত্র রমজানে অধিকাংশ পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকলেও চালের দাম বেশি। এরমধ্যে রোজা শুরুর পরও বাজারে কিছু কিছু চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে।
আজ শুক্রবার  রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে এখন অস্বস্তি শুধু চালের দামে। এখন রাজধানীর বাজারে ভালোমানের সরু চাল কিনতে প্রতি কেজিতে দাম দিতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মাঝারি চালের দাম ৭০ থেকে ৭৬ টাকা আর মোটা চাল কিনতে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা দিতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে।

আরও পড়ুন