নিউজ ডেস্কঃ
সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন মেট্রোরেল কর্মীরা। ফলে আজ (১৭ মার্) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের আশঙ্কা ছিল। তবে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে মেট্রোরেল চলছে। যদিও কাজে যোগ দেননি মেট্রোরেল কর্মীরা।
এ দিকে, মেট্রোরেল কর্মীরা কাজে যোগ না দেওয়ায় মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে একক যাত্রার যাত্রীরা বিনা টিকিটে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন। আর যাদের এমআরটি কার্ড আছে তারা কার্ড পান্স করে ঢুকতে পারছেন।
মেট্রোরেল কর্মীদের কর্মবিরতি ঘোষণা
মেট্রোরেল সূত্র জানায়, এমআরটি পুলিশের কয়েকজন সদস্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন কর্মীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় রোববার (১৬ মার্চ) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি দেওয়া হয়। ফলে আজ সকাল থেকে মেট্রোরেল কর্মীরা কাজে যোগ দেননি। মেট্রোলের একক যাত্রার টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে তাদের ফ্রিতে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এখন বিষয়টি সমাধানে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। আশা করা যায়, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
তবে এমন ছোট ঘটনায় কর্মবিরতি দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেট্রোলের যাত্রীরা।
মেট্রোরেল যাত্রীদের জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ
মেট্রোরেল প্যাসেঞ্জারস কমিউনিটি-ঢাকা। এই পেজে রোববার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে যাত্রী তৌহিদ আলী লিখেন, কেন ভাই? ৩+ লাখ যাত্রীর কি দোষ? তাদের কে কেন হয়রানি করবেন?? কোন সমস্যার সমধান কী এভাবে হয়? কিছু হলেই আপনারা কর্মবিরতি তে চলে যান৷ একবারে চলে যান তাইলেই ভালো হয়। উপদেষ্টার কাছে আবেদন সমস্যা সমাধান করুন সকাল ৭.১০ এর মধ্যে৷ আমরা যাত্রীরা কাল যেন কোন হয়রানিতে না পড়ি।
ওয়াহিদ মুরাদ অপু লিখেন, জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে দাবি আদায়ের সেরা পন্থা গ্রহণ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এতে লাখ লাখ যাত্রীর অমানসিক কষ্টকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমস্যার সমাধান না করে সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু সমাধানের পক্ষে। পবিত্র রমজান মাসের সুশিক্ষায় আমরা শিক্ষিত হই। আমরা ধৈর্য ধারণ করি, সরকারের প্রতি আস্থা রাখি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন, আমিন।
ফাহিম ফারাজি লিখেন, গোটা দেশটাকে মেট্রোরেলের কর্মীরা মগের মুল্লুক পেয়েছে! কিছু হলেই কর্মবিরতি! জনগনকে জিম্মি করে এরা দাবি আদায় করতে আসছে। অমুক দাবি… না মানলে কর্মবিরতি। তমুক দাবি… না মানলে কর্মবিরতি!