নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সর্বশেষ

কর্ণফুলী টানেল দিয়ে দৈনিক ১৮ হাজার ৪৮৫টি গাড়ি চলাচল।

নিউজ ডেস্কঃ

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫

সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, উদ্বোধনের এক বছরের মাথায় কর্ণফুলী টানেল দিয়ে দৈনিক ১৮ হাজার ৪৮৫টি গাড়ি চলাচলকরবে। কিন্তু ২০২৪ পার হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, টানেলে প্রতিদিন গাড়ি চলছে ৩ হাজার ৯১০টি। এই সংখ্যা সমীক্ষা বা প্রত্যাশার মাত্র এক চতুর্থাংশ। অপরদিকে যে গাড়িগুলো চলছে তার বেশিরভাগই ছোট গাড়ি। ফলে প্রত্যাশিত টোলের কাছেও যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

গত এক বছরের বেশি সময়ে আদায়কৃত টোলের চেয়ে একশ কোটির বেশি টাকা পরিচালন ব্যয় হিসেবে খরচ হয়েছে। এই খরচ ক্রমাগত বাড়ছে। মাস্টার রোল ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগসহ টানেলের নানা খাতে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এতে ব্যয় আরো বাড়ছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।

চীনের সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হয়। কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়কে মূল শহরের সাথে যুক্ত করাই টানেল নির্মাণের অন্যতম লক্ষ্য। চীনের ঋণ সুবিধায় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় টানেল। চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) টানেলটি নির্মাণ করে। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের সাথে মোট সড়ক নির্মিত হয়েছে ৯.৩৯ কিলোমিটার। মূল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টিউব দুটি সমান্তরালভাবে নদীর তলদেশ থেকে ১৮ মিটার থেকে ৩১ মিটার গভীর (পানির লেভেল থেকে ৪১ মিটার) দিয়ে পতেঙ্গা ও আনোয়ারাকে যুক্ত করেছে। একটি টিউব থেকে অপর টিউবের দূরত্ব ১২ মিটার। তবে টিউব দুটিতে যাতায়াতের চারটি পথ রয়েছে। ৩৫.৪ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উচ্চতার টানেলের একটি টিউবের দুই লেনে একমুখী গাড়ি চলাচল করে। অর্থাৎ একটি টিউব দিয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারার দিকে গাড়ি যায়, অপরটি দিয়ে আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গায় আসে।

নির্মাণের আগে বলা হয়েছিল, টানেল দক্ষিণ চট্টগ্রামকে শুধু নয়, বাংলাদেশকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। কঙবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্পায়ন, আবাসন এবং পর্যটনে এই টানেল প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে। কঙবাজার–চট্টগ্রামের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেওয়া ছাড়াও টানেলের মাধ্যমে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা–চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই টানেল দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৬৬ শতাংশ বাড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন