আমারদেশ২৪
সোমবার ৩১ মার্চ ২৫
ঢাকার সব ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পোশাকধারী পুলি সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ‘সমন্বিত নিরাপত্তা বলয়’ গড়ে তোলা হবে। কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি না থাকলেও নিষিদ্ধঘোষিত কোনো দল যাতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সেজন্য সদা সতর্ক থাকতে হবে।গতকাল রোববার জাতীয় ঈদগাহে গৃহিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বরাবরের মতো এবারও জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আর বায়তুল মোকাররমে ৫টি ঈদ জামাতের মধ্যে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহের জামাতটি সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে মোট ১১১টি ঈদগাহে এবং ১ হাজার ৫৭৭ টি মসজিদে ১ হাজার ৭৩৯টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, সব স্থানের ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা বিধানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। তল্লাশির জন্য আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। পুরো জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ আশপাশের এলাকা সিসিটিভি আওতাভুক্ত থাকবে। প্রায় ১০০ সিসিটিভি ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে যা সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, ঈদগাহে প্রবেশের প্রধান তিনটি গেইটে ব্যারিকেড থাকবে, যেখানে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। মৎস্যভবন, প্রেস ক্লাব ও শিক্ষাভবন এবং ঈদগাহ ময়দানের চতুর্পাশে বহির্বেস্টনি দিয়ে তল্লাশির ব্যাবস্থা থাকবে। ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকা এসবির সুইপিং টিম এবং সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড সুইপিং করবে। সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। সাদা পোশাকে ডিবি ও সিটিটিসি সদ্য মোতায়েন থাকবে। ওয়াচটাওয়ার থেকে মনিটরিংসহ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশিকাজে সহায়তার অনুরোধ করা হলো। কোনো প্রকার ব্যাগ, ধারালো বস্তু, দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ রইল। সকলকে জামাত শেষে তাড়াহুড়া না করে সুশৃঙ্খলভাবে বের হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সন্দেহজনক কিছু মনে হলে নিকটস্থ পুলিশ সদস্যকে জানাতে কিংবা প্রয়োজনে ৯৯৯ অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা ২ ধরনের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়েছি। একটা হলো- ওভার এবং আরেকটা কভার। সবকিছুতো আমরা ডিসক্লোজ করি না। অনেককিছু নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রাখি।