নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

আম বিশ্বের বেশিরভাগ ফলের শীর্ষে রয়েছে।

 

আমারদেশ২৪ নিউজ ডেস্ক:
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

বাংলার বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাসকে ‘মধুমাস’ বলা হয়, এবং এর একটি সুনির্দিষ্ট কারণও রয়েছে। এই মাসগুলোতে বছরের সবচেয়ে মধুর ফলগুলো পাওয়া যায়। বিশেষ করে, এই সময়ে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল এবং ফলের রাজা আম বাজারে ছেঁয়ে ফেলে।

আমে প্রচুর ভিটামিন-এ (ক্যারোটিন), ভিটামিন-সি, খনিজ এবং ক্যালোরি রয়েছে। ভিটামিন-এ এর দিক থেকে আম বিশ্বের বেশিরভাগ ফলের শীর্ষে রয়েছে। ইউএসডিএ পুষ্টি ডেটাবেস অনুসারে, প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ৬০ কিলোকালরি শক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া এতে রয়েছে শর্করা (১৫ গ্রাম), স্নেহ পদার্থ (০.৩৮ গ্রাম), প্রোটিন (০.৮২ গ্রাম) এবং নানা প্রকার ভিটামিন ও খনিজ। আসুন, জেনে নেওয়া যাক আমের উপকারিতা—
১. কর্মশক্তি বৃদ্ধি
আমে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমিত পরিমাণে আম শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমের পাতা বেশ উপকারী। ৫-৬টি আম পাতা ধুয়ে একটি পাত্রে সেদ্ধ করে সারারাত রেখে সকালে ছেঁকে পানি পান করলে ইন্সুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আম মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. চোখের যত্নে
আমে প্রচুর ক্যারোটিন রয়েছে যা চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি-কাশি দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এক কাপ পাকা আম খেয়ে সারাদিনের ভিটামিন-এ এর চাহিদার ২৫% পূরণ করা সম্ভব। এটি চোখের শুষ্কতা ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
৩. হজমে সহায়ক
আম একটি প্রিবায়োটিক ফল, যা পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী। ৩/৪ কাপ আমে ডায়েটারি ফাইবারের প্রায় ৭% থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
৪. ঘুমে সহায়ক
আমে থাকা ট্রিপটোফ্যান, মেলাটোনিন এবং ম্যাগনেসিয়াম আমাদের ঘুমকে ত্বরান্বিত করে, অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে।
৫. ওজন কমায়
আমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান, যা এক আম খেলেই সারা দিনের ভিটামিনের চাহিদা পূর্ণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৬. হিট স্ট্রোক ঠেকাবে
এই গরমে হিট স্ট্রোক একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আম আমাদের শরীরকে শীতল রাখে এবং অতিরিক্ত গরম হওয়ার থেকে রক্ষা করে।
৭. হাড় গঠনে
আমে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড় গঠনে সহায়তা করে। তাই প্রতিটি মানুষের জন্য আম খাওয়া প্রয়োজন, যা হাড় ও দাঁতকে সুস্থ রাখে।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ
আম উচ্চ আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি হজমের জন্য খুবই উপকারি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। যারা হজমে সমস্যা ভোগেন, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে।
৯. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা
আমে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-সি, পেকটিন ও আঁশ কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আম পটাশিয়ামের ভালো উৎস, যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কাঁচা আম শরীরের সোডিয়াম ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
১০. ক্যান্সার প্রতিরোধ
গবেষকরা বলেছেন, আমে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও উচ্চ পরিমাণ খাদ্য আঁশ থাকার কারণে এটি কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, রক্তস্বল্পতা, লিউকেমিয়া এবং প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১১. তারুণ্য ধরে রাখতে
আমে থাকা ভিটামিন-সি কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বককে সতেজ ও টানটান রাখে। এছাড়া, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই রয়েছে, যা ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান।

আরও পড়ুন