নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

সেন্টমার্টিন ‘বাঁচাতে’ বিধিনিষেধ ব্যবসায়ীদের দাবি পাত্তা দিচ্ছে না সরকার।

শনিবার,০১  ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াতে ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। অন্যদিকে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ব্যবসায়ীদের এ দাবিকে পাত্তা দিচ্ছে না সরকার। প্রবাল দ্বীপটির আয়ুষ্মানতা নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ দূষণের কারণে ২০৪৫ সালে প্রবাল দ্বীপটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। তাই সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দেশের সর্ব-দক্ষিণের দ্বীপ সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার থেকে সমুদ্রপথে ৬ ঘণ্টার জাহাজযাত্রা শেষে দ্বীপটিতে পৌঁছান ভ্রমণপিপাসুরা। সাগরের স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন সবাই। ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের অবস্থান বিপরীতমুখী। তাদের দাবি-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দ্বীপে পর্যটক চালু থাকুক।
তারা বলছেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ দূষণরোধ করেই পর্যটক চলাচল চালু রাখা সম্ভব। এখানে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, জেনারেটর বন্ধ করে স্থাপন করতে হবে সোলার প্লান্ট এবং ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার বন্ধে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। আগামী মৌসুমের মধ্যেই এগুলো করা সম্ভব। এ জন্য বিনিয়োগকারীও রয়েছে। কিন্তু তা না করে, বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করায় সেন্টমার্টিনে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত এখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এর নানামুখী বিরূপ প্রভাব পড়বে। তারা মাদক ও মানব পাচারসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে।
তবে বিধিনিষেধ তুলে নিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে তাদের দাবিকে পাত্তা দিচ্ছে না সরকার।তারা এমন দাবি জানালেও বিধিনিষেধ আরোপের পর দ্বীপের পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা।
আজ শনিবার থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াতে ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত দ্বীপটিতে ভ্রমণ করেছেন পর্যটকরা।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের পরিচালক শাহ আলম সময়ের আলোকে বলেন, নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকে নিয়ম মেনে অনলাইনে নিবন্ধন করে শুক্রবার সকালে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, এমভি বার আউলিয়া, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি আটলান্টিক ক্রুজ ও বে-ক্রুজ জাহাজে করে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে গেছেন।
নিষেধাজ্ঞায় যা বলা হয়েছে : গত অক্টোবর মাসে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি-এই তিন মাস পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন। এর মধ্যে নভেম্বরে দিনে গিয়ে দিনে চলে আসতে হবে, দ্বীপে রাত কাটানো যাবে না।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ২ হাজার পর্যটক প্রতিদিন যেতে পারবেন, রাতেও থাকতে পারবেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না কোনো পর্যটক। সরকার তখন সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ব্যাপারে নানা শর্ত জুড়ে দেয়। যেমন তখন বলা হয় যে সেখানে কোনো আলোকসজ্জাসহ বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না। আট কিলোমিটার দীর্ঘ এই দ্বীপের প্রবালসহ সামুদ্রিক প্রাণী সংগ্রহ করার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন