নোটিশ: বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় সাইটটি শীঘ্রই সাসপেন্ড হয়ে যাবে, অনুগ্রহ পূর্বক যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

ঈদের আগে বেতন-বোনাস সংকট গোয়েন্দা তালিকায় শতাধিক কারখানা।

আমারদেশ২৪ ডেস্কঃ
শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫
আসন্ন ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট দেখা দিতে পারে এমন শতাধিক কারখানার তালিকা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএকে দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে ঈদের আগে এসব কারখানায় বেতন-বোনাসকে ঘিরে যাতে কোনো অস্থিরতা না হয়, তার জন্য আগে থেকেই যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়-সে পরামর্শও দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিজিএমইএ ও শ্রমিক নেতাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টস খাতের বর্তমান পরিস্থিতি ও ঈদের আগে বেতন-বোনাস দেওয়াকে ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গত বুধবার সাভারের গলফ ক্লাবে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাইন ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মনসুর খালেদ এবং শ্রমিক পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়া বৈঠকে শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে এনএসআইয়ের পক্ষ থেকে মোট ৯৮টি গার্মেন্টস কারখানার তালিকা দেওয়া হয়। এ সময় বলা হয়, গাজীপুর, সাভার এবং আশুলিয়া এলাকার এসব কারখানায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট দেখা দিতে পারে। যাতে বেতন-বোনাস নিয়ে এসব কারখানায় কোনো সংকট না হয় তার জন্য আগে থেকে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়- সে সুপারিশও করা হয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক শ্রমিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সময়ের আলোকে বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ৯৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করলেও বৈঠকে শিল্প পুলিশসহ আরও কিছু সংস্থার পক্ষ থেকে শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার কথা বলা হয়। তবে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রতিনিধি মনসুর খালেদ বৈঠকে ৩৮ থেকে ৪০টির মতো গার্মেন্টস কারখানায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট হতে পারে বলে জানান।’

আরও পড়ুন